February 5, 2025, 12:58 pm
আনোয়ার হোসেন।
স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি//
স্বরূপকাঠি উপজেলার বন বিভাগের ঝড়ে পড়ে যাওয়া ৯০% নষ্ট মরা গাছের টেন্ডার দেয়া হয়েছে।ঐ ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছের পাশাপাশি তাজা গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুজন ঠিকাদার সোহেল আরমান এবং আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ।এ ঘটনায় ঐ ঠিকাদারদের গাছ আটক করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট রাস্তার সভাপতি, মেম্বার ও চৌকিদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানান, বনবিভাগের কর্মকর্তা।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, স্বরূপকাঠি বন বিভাগের গাছ ঝড়ে পড়ে যাওয়া মরা গাছ (৯৭-৯৮ সালে পড়ে যাওয়া গাছ)২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৩৭ নম্বর গ্রুপে টেন্ডার দেয়া হয়। ওই টেন্ডারের ভিত্তিতে জেলা বন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে ১১ মে ৪৯৫.৪৭ ঘনফুট কাঠ অপসারণের জন্য স্বরূপকাঠি উপজেলার আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক এবং সোহেল আরমানকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন , টেন্ডারের নামে ঠিকাদার, বন কর্মকর্তা, পাহারাদার সহ স্থানীয় ও কয়েকজন যোগসাজশে টেন্ডার বিহীন গাছ কাঠা হয়েছে ।
সরজমিন গেলে সমুদয়কাঠি এলাকার মেম্বার জানান, ঠিকাদারের লোকজন উপজেলার বন কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে তাজা ও মোটা গাছ কাটতে শুরু করে। ৩৭টি গাছ কেটে নেয়ার অর্ডার ছিলো কিন্তু তারা ৯০পিচ গাছে কেটে ফেলা হয়েছে কিন্তু ঐ রাস্তার গাছ কারটার অর্ডার ছিলোনা।তাই আমরা বন বিভাগের কর্মকর্তাকে জানাই।তবে কিছু দিন পরে কাউকে কিছু না জানিয়ে গাছ নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি গাছ কাটার সময় ছিলাম পরে আমি শুনেছি। যে গাছ গুলো অতিরিক্ত কাটা হয়েছে সেগুলো আনা হয়নি।বন বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্বরূপকাঠি বানারীপাড়া সড়কের
সরজমিনে দেখা যায়, মরা গাছের পাশাপাশি সোহেল আরমান দুটি আকাশ মনি গাছ কেটেছে। এ বিষয় সোহেল আরমান বলেন, টেন্ডারের একটি গাছ পাওয়া যাচ্ছে না কেবা কারা গাছটি নিয়ে গেছে। তাই সভাপতি এবং মেম্বারকে বলে ঐ গাছটি কাটা হয়েছে। তবে এ বিষয় মেম্বার বলে এ ব্যাপারে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আব্দুর রাজ্জাক এবং সোহেল আরমান টেন্ডারের বাইরেও গাছ কাটার কথা স্বীকার করেন। পরিদর্শনে গিয়ে অতিরিক্ত গাছ কাটর প্রমাণ মিলেছে এর সাথে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমাদের উপজেলা লেবেলে জনবল কম হওয়ায় একটু সমস্যা হয়।