August 15, 2025, 2:13 pm
মোংলা প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দুবলার শুটকি মৌসুম। এ মৌসুম চলবে ১লা নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ৫ মাস ধরে জেলেরা থাকবেন এ চরে। চরে থাকার জন্য ঘর, মাছ শুকানো চাতাল, মাঁচা ও শুটকি মাছ সংরক্ষণের গোডাউন তৈরিতে ব্যস্ত কাজ করছেন জেলে-মহাজনেরা। এসব সম্পন্ন করেই জেলেরা গভীর সমুদ্রে নানা প্রজাতির মাছ আহরণে ট্রলার নিয়ে নেমে পড়বেন। প্রজাতি ভেদে মাছ বাছাই করে কাঁচা ও শুটকি তৈরি করে বাজারজাত করে থাকেন জেলে-মহাজনেরা।গতবারের তুলানায় এবার দুবলার চরে জেলেদের সমাগম বেশি হয়েছে। গত মৌসুমে সাড়ে ৯শ জেলে ঘর দেয়া হলেও এবার দেয়া হয়েছে সহস্রাধিক। বেড়েছে ডিপো ও দোকান ঘরের সংখ্যাও। ১ হাজার ৩০টি জেলে-মহাজনদের ঘর, ৬৩ টি ডিপো ও ৯৬টি দোকান ঘরের অনুমোদন দিয়েছে বনবিভাগ। ১০৩০টি ঘরে জেলে-মহাজনেরা থাকবেন, ৬৩ টি ডিপো মালিক জেলেদের কাছ থেকে মাছ কেনা-বেচা করবেন, ৯৬টি দোকানের মধ্যে মুদি, জ্বালানী তেল, সেলুন ও ওষুধসহ বিভিন্ন দোকান দিয়ে জেলেদের চাহিদা পূরণ করে থাকেন। শুরু হতে যাওয়া এ মৌসুমে জেলেদের নির্বিঘ্ন করতে টহল ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবেন র্যাব, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, বনবিভাগ।
তবে সাগরে দস্যুতা না থাকায় এখন জেলেরা নির্ভয়ে মাছ শিকারসহ শুটকির কারবার করতে পারছেন।
তবে এ সকল জেলেদের দাবী চরে টেকসই সাইক্লোন শেল্টার, বয়া বাতি, দুর্যোগ সংকেত, সুপেন পানির ব্যবস্থা করার। আর তাদের বড় দাবী হলো একটি অস্থায়ী ভাসমান হাসপাতাল স্থাপনের। কিন্তু তাদের এ দাবী দীর্ঘ বছরে পূরণ হয়নি। জেলেরা বলেন, হাসপাতালটি খুবই জরুরী, কারণ চরে জেলেরা হঠাৎ করেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। তখন হাসপাতালের অভাবে আহত ও অসুস্থদেরকে ট্রলারে নিয়ে যেতে হয় শহরে। তারা আরো বলেন, আমরা প্রতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছি, কিন্তু আমাদের একমাত্র সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবী থাকলেও তা উপেক্ষিত। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই একটি ভ্রাম্যমান হাসপাতাল, আর হাসপাতাল না হওয়া পর্যন্ত একটি হাইস্পিড বোটের ব্যবস্থা করবেন, তাহলে অসুস্থ ও আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, চরে একটি মৌসুম ভিত্তিক হাসপাতাল দেয়ার প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত হাসপাতাল না থাকলেও হাসপাতালের আদলে ওষুধের দোকানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর দুর্যোগ সর্তক করতে চরে টেলিটকের নেটওয়ার্ক রয়েছে। তবে সেখানে আশ্রয় কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে বলে জানান তিনি।