গত এক বছরে ৭৫০মোবাইল উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দিয়ে প্রশংসিত কোতোয়ালি পুলিশ

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে মালিকের কাছে পৌঁছে দেয়া ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি সাফল্য। এই সাফল্যে গ্রাম-গঞ্জের মানুষের মাঝে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সর্বপ্রথম এই উদ্যোগ নেয় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের এএসআই আমীর হামজা । তার এই উদ্যোগে মানুষের মাঝে পুলিশের যে প্রশংসা ছড়িয়েছেন তা দেখে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার পুলিশ এ কার্যক্রম শুরু করেছে।

সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় কোতোয়ালী মডেল থানা ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ,নগরীর চায়ের দোকানী হিরণ, সাবেক মেম্বার ইসমাইল হোসেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেজিস্টার আফরোজা বেগম, কলেজ ছাত্র ফারুক, চাকরী জীবি মারুফ, সালমান,কৃষক রাকিবুল, ছাত্র সাজিদ, ব্যাবসায়ী জনি, বাদশা ফার্ণিচার ব্যাবসায়ী মালিকেরহাতে তাদের সখের হারানো মোবাইল তোলে দেন।

এপযন্ত কোতোয়ালী মডেল থানা গত এক বছরে ৭৫০ টি মোবাইল উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল উদ্ধার করে এএসআই আমীর হামজা নিজে সুনাম কুড়াচ্ছে ঠিক সুনাম বৃদ্ধি করছে জেলা পুলিশের।
এএসআই আমীর হামজাকে অবশ্যই পুলিশের শ্রেষ্ঠ পদক পদকের দাবী জানাই ময়মনসিংহবাসী। হারানো ফোন খুঁজে বের করার এই চ্যালেঞ্জ জয় করা তিনি দায়িত্ব বলে মনে করেন।

মোবাইল ফোন পেয়ে চায়ের দোকানি হিরণ জানান, আমি একজন ছোট চায়ের দোকানি। আমি অনেক শখ করে অল্প অল্প টাকা জমিয়ে শখের মোবাইল ফোনটি কিনি। মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। আজ হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। আমি কোতোয়ালী থানার ওসি স্যারসহ সকল পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞা জানান।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, মানুষকে সতর্ক করতে উদ্যোগ নিয়েছে থানা পুলিশ। কোতোয়ালী পুলিশ সার্বক্ষণিক আন্তরিক হয়ে জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মোবাইল উদ্ধারের পর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মালিকরা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে খুশি। এতে জনগণের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা দিন দিন বাড়ছে। ফোনটি ফেরত পেয়ে হাসিমাখা মুখ দেখে আমরাও অনেক আনন্দিত। এভাবে প্রতিটি জনগণের পাশে থাকবে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *