সিত্রাংয়ে সাগরে ভেসে থাকা ২৩ জেলেকে উদ্ধার, কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর

মোংলা প্রতিনিধি।
সিত্রাংয়ের তান্ডবে ভেসে ভারতের জলসীমায় চলে যাওয়া ২৩ জেলেকে উদ্ধারের পর বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছেন সেদেশীয় কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমার শূণ্য রেখায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড’র জাহাজ স্বাধীন বাংলার কাছে এদেশের এ জেলেদেরকে হস্তান্তর করেন সেদেশীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ বিজয়া। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের (ঢাকা) মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমা থেকে ভেসে ভারতের জলসীমায় চলে যায় ভোলার ফিশিং ট্রলার এফ,বি জেসমিন। ভারতীয় জলসীমায় ওই ফিশিং ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর জেলেরা ড্রাম ও ভাসমান বস্তু ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকেন। সমুদ্রে ভাসতে থাকার ২৪ ঘন্টার মাথায় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের একটি টহল বিমান ওই জেলেদেরকে দেখতে পান। এরপর ওই বিমান থেকে সমুদ্রে ভাসমান জেলেদের জন্য লাইফ র‍্যাফট/লাইফ জ্যাকেট (জীবন ভেলা) দেয়া হয়। ওই লাইফ র‍্যাফটের সাহায্যে সবলভাবে ভাসতে থাকার পর ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ বিজয়া মঙ্গলবার রাতে ওই জেলেদেরকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওই জেলেদেরকে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমার শূণ্য রেখায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জাহাজ স্বাধীন বাংলার কাছে হস্তান্তর করেন ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ বিজয়া। এরপর মোংলা কোস্ট গার্ডের (পশ্চিম জোন সদর দপ্তর) একটি হাই স্পিড বোটে তাদেরকে বৃহস্পতিবার রাতে মোংলায় আনা হয়। মোংলায় আনার পর রাতেই ওই সকল জেলেদেরকে তাদের পরিবার ও মহাজনের কাছে হস্তান্তর করে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। এ সময় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) অপারেশন অফিসার লেঃ কমান্ডার এম মহিউদ্দিন, চীফ ষ্টাফ অফিসার লেঃ কমান্ডার আশিক আহমেদ সিদ্দিক ও মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার। কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, এ সকল জেলেদের বাড়ী ভোলার চরফ্যাশনের বিভিন্ন এলাকায়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার ও পোশাকাদি দিয়ে স্বজন ও মহাজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সবাই ভাল ও সুস্থ রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *