February 5, 2025, 6:48 am
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
কৃষিসমৃদ্ধ জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা। এই উপজেলার আলুর সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। এ বছর কৃষকেরা ব্যবসায়ীদের আলু না দিয়ে উপজেলার পল্লী হিমাগারে একটি হিমাগারে রাখেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নানা
অবহেলায় শত শত বস্তা আলু পঁচে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কৃষক ও ব্যবসায়িকরা অভিযোগ করেন, এক লক্ষ বিশ হাজার বস্তা ধারণক্ষমতাসম্পন্ন পল্লী হিমাগারে চলতি মৌসুমে এক লাখ ২০ হাজার বস্তা প্রায় আলু সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে নির্দিষ্ট মানের তাপমাত্রা না রাখা ও খরচ বাঁচানোর জন্য অনেক সময় বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেওয়াসহ হিমাগার কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলার কারণে আলু নষ্ট হয়েছে।
বুধবার দুপুরে পল্লী হিমাগারে গিয়ে দেখা গেছে, হিমাগারের সামনের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে পচা আলু ফেলে রাখা হয়েছে। এবং হিমাগারের ভিতরে একটি ডোবায় ষ্টোরে কাজের মহিলারা পঁচা আলু ফালাচ্ছে। এবং আশেপাশের মহিলারা আলু বাছাই করে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় কিছু লোকজন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বলেন। এই ষ্টোরে চলাচল করাই মুশকিল স্টোর যেগুলো আলু পঁচা বের হয় সবগুলো পঁচা আলু স্টোরে ফালা হয়। এমন দূর গন্ধ ছড়াচ্ছে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না, বিষয়টি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা
কালাই উপজেলার রইচ উদ্দীন আলুচাষি ব্যবসায়ি মাহবুব হোসেন (৩৬) জানান, তিনি ওই হিমাগারে দুই হাজার বস্তা গ্রানুলা জাতের আলুবীজ সংরক্ষণের জন্য জমা রাখেন। কিন্তু ১৯ অক্টোবর হিমাগার থেকে ওই আলু বের করার পর দেখা যায়, প্রতি বস্তায় চার থেকে পাচঁ কেজি আলু পঁচা বের হয়।এবং নিশ্চিন্তা গ্রামের ওয়াজেদ আলী বলেন আমি এই স্টোরে প্রতিদিন ব্যবসা করি। আলু কিনাবেচা করি যেগুলো আলু কিনি প্রতি বস্তায় তিন থেকে চার কেজি পঁচা বের হয়। এমনইতে আলুর দাম কম তার উপর আবার পঁচা আলু বের হয়। আমরা খুব কষ্টে আছি।
পল্লী হিমাগারের ফোরম্যান আজিজুল হাকিম বলেন, পাঁচ শত বস্তায় যদি আলু কিছু পঁচে তাহলে এমনইতে আলুর সেটে পঁচা আলু বেশি দেখা যাবে।
পল্লী হিমাগারের ব্যবস্থাপক রাহুল ইমাম সাব্বির বলেন, আলু পঁচার জিনিস পঁচে যাবেই। কখনোই হিমাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি। আমাদের হিমাগারে বেশির ভাগ আলু ঠাকুরগাঁও জেলার আলু তাই পরিমানে একটু বেশি পঁচে যাচ্ছে। শুধু আমাদের হিমাগার না কালাই উপজেলার সবগুলো স্টোরে আলু পঁচে যাচ্ছে, এখানে দূরদূরান্ত থেকে কৃষক ও ব্যবসায়িক আসেন। আলুর কোয়ালিটি ভালো হলে আলু ভালো থাকবে। দুই চার কেজি আলু পঁচতেই পারে।