মাদ্রাসার মাঠে পিচ গলানো হচ্ছে জুতা,প্লাস্টিক সহ নানা রকমের বর্জ্য দিয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

এস এম মিলন জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটে রাস্তা সংকারের কাজে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসার মাঠে পিচ গলানোর হচ্ছে
কাঠ ও তুষের পরিবর্তে ব্যবহৃত পুরাতন জুতা, স্যান্ডেল, প্লাস্টিক সহ নানা রকমের ভাঙ্গাড়ি নষ্ট বর্জ্য
দিয়ে। বর্জ্যরে দূষিত কালো ধোঁয়া ও গন্ধে শিক্ষার্থী সহ বিষিয়ে উঠেছে জনজীবন। স্থানীয়রা
পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে, বিপর্যয় হচ্ছে আশপাশের গাছপালা ও পরিবেশ। আর এসব বর্জ্য দিয়ে
পোড়ানো যাবে বলছেন প্রভাবশালী ঠিকাদার। মেডিকেল অফিসার বলছেন, শ্বাসকষ্ট সহ নানা স্বাস্থ্য
ঝুঁকি রয়েছে। এলইজিডির প্রকৌশলীরা সব জেনেও আমলে নিচ্ছেন না তারা।
জয়পুরহাট ক্ষেতলালের শিবপুর ও গোপিনাপুর সাড়ে ৫ কিলোমিটার রোডে রাস্তা সংস্কারে পিচ
গলানোর কাজে কাঠ ও তুষের পরিবর্তে পুরাতন জুতা, স্যান্ডেল, প্লাস্টিক সহ নানা রকমের ভাঙ্গাড়ি নষ্ট
বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে ফুলদীঘিহাট চশমায়ে উলুম দ্বি-মূখী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার মাঠে।
ঠিকাদারদের অনত্র ফাকা ভাড়া করা জায়গাতে এসব না পোড়ানোর কারণে মাদরাসা ও আশপাশে বিষাক্ত
কালো ধোয়ার গন্ধে পরিবেশ-গাছপালা ও জনজীবন বিষিয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি সহ নানা
ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। দ্রুত অন্যত্র ফাঁকা জায়গায় স্থানান্তরের দাবী জানিয়েছেন
এলাকাবাসীরা। এসব চিত্র জেলার বিভিন্ন্ স্থানে দেখা যায়, ঠিকাদাররা কোনো কিছুই তোয়াক্কা
করেন না। সব কিছু জেনেও আমলে নেন না এলইজিডি কর্তৃপক্ষ। দ্রুত বন্ধ করে অনত্র সরিয়ে নেওয়ার ও
শাস্থির দাবি জানিছেন স্থানীয়রা।
ঐ মাদরাসার ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম, তুহিন ও এলাকাবাসী আলম সওদাগর, ফরহাদ সহ অনেকে দৈনিক আমাদের নতুন সময় কে বলেন সরকারী রাস্তার কাজ অব্যশই হোক এটা আমরা চাই। কিন্তু মাদরাসার মাঠে এসব
পুরাতন জুতা, স্যান্ডেল, প্লাস্টিক সহ নানা রকমের ভাঙ্গাড়ি নষ্ট বর্জ্য পোড়ানোর ফলে বিশাক্ত কালো
ধোয়া ও দূগর্ন্ধে ছাত্র ছাত্রী সহ জন জীবন অতিষ্ট। এসব বিষাক্ত ধোয়ায় বাচ্চাদের বিভিন্ন
সমস্যা ও মাদরাসার গাছপালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ফাকা যায়গায় তুষ বা কাঠ দিয়ে পুড়ানো
দরকার এবং দ্রুত মাদরাসার মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া দরকার। তারা অন্যায় করছে তাদের শাস্থি ও হওয়া দরকার।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজল এন্টার প্রাইজের ছেলে পিয়াস আহম্মেদ বলেন, কাজের স্বার্থে এসব বর্জ্য জ্বালানী হিসাবে পোড়ানো যাবে। এসব পুরাতন জুতা, স্যান্ডেল,
প্লাস্টিক জ্বালানী সচারচর এগুলো দিয়ে পিচ গলানো হয়। এগুলো ভিডিও করেন না এমনি কথা বলেন
ফুলদীঘিহাট চশমায়ে উলুম দ্বি-মূখী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অফিস সহকারি ওমর হায়দার বলেন, এসব পোড়ানোর কারনে মাদরাসার গাছগুলো নষ্ঠ হচ্ছে, ছাত্র ছাত্রী ও আমাদের নানা
সমস্যার হচ্ছে ও ঠিকাদার কে নিষেধ করলেও শোনেন না। বেশি কিছু বললে সরকারী কাজে বাধা দিলে
পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। কিসের প্রভাবে ঠিকাদার এসব করছে। আমরা এখন কী করব।
ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরিফুল ইসলাম
বলেন, এসব দিয়ে পোড়ানোর ফলে পরিবেশ গাছপালা ফসল ও মানুষের শ্বাসকষ্ট, এ্যাজমা
সহ নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
ক্ষেতলাল এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী প্রদিপ কুমার উর্দ্ধোতনের নির্দেশ ছাড়া আনুষ্ঠানিক
কথা বলতে রাজি হননি। তবে মৌখিক ভাবে জানান এসব নষ্ঠ জুতা, স্যান্ডেল, প্লাস্টিক দিয়ে পিচ
গলানো যাবে না। সেটা জ¦ালানী হিসাবে পোড়া হয় সেগুলো দিয়ে পিচ গলাতে হবে।
জয়পুরহাট এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকোশলী আব্দুল মতিন সাথে উপজেলা প্রকৌশলী
অফিস থেকে মুঠোফোনে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে বললে তিনি বলেন কোনো কিছুই করতে হবে
না, ঠিকাদারকে বলে দিয়েছি তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করতেছে, কোনো বক্তব্য নিতে হবে না।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *