February 5, 2025, 7:46 am
বায়জিদ হোসেন, মোংলা:
ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৬৬ তম জন্মবার্ষিকীতে রবিবার
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পিডিএম ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে কবির সমাধীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সকাল ১০ টায় সংগঠনের সদস্য তুহিন মন্ডল, সজীব মন্ডল সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যের উপস্থিতিতে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পিডিএম ফাউন্ডেশের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান দিপংকর মৃধা ‘দৈনিক নতুন বাজার’ কে বলেন, কৈশোরবেলা থেকেই সাহিত্যমনা ছিলেন রুদ্র। কবিতা পড়তে ও আবৃত্তি করতে ভালোবাসতেন; কবিতা ছিলো তার মজ্জাগত। তার জীবনের প্রধান একটা অংশ জুড়ে দখল করেছিল কবিতা। অন্যদিকে পরিণত বয়সে এসে জীবনের জন্য কবিতা নয় বরং কবিতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। দিপংকর মৃধা বলেন আমার জানা মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়ার আগেই সাহিত্যে প্রচণ্ড অনুরাগ ছিলো তার; আর অনুরাগ থেকেই কবিতা লেখায় হাতে-খড়ি। সময়ের চিলেকোঠায় ‘কবিতা’নাম্নি বর্গক্ষেত্রের মধ্যেই রুদ্র মানুষের একাকিত্বতা, নিমগ্নতা, লৌকিক সভ্যতার মানচিত্র এঁকেছেন দক্ষ হাতে। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কবি, কবি এবং কবি। কবির ঊর্ধ্বে আর কিছুই নন তিনি। তার কবিতা স্বপ্ন দেখায় কবিতার আড়ালে এক বিশুদ্ধ সময়ের। দিপু মৃধা বলেন, রুদ্র তার কবিতায় অপ্রতিরোধ্য গতি সৃষ্টি করে সহজেই পৌঁছে গেছেন কালোত্তীর্ণের কাতারে। ‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়, চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী। চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে, আমার না-থাকা জুড়ে’মোংলার মিঠেখালির বুকে শুয়ে আছেন কবিতার এই খেয়ালী চাষা। সব বাঁধা ছিঁড়ে যে কবি বেরিয়ে এসেছেন, তাঁর কাঁধে এখন বাংলা কবিতার জোয়াল!
ভালোবাসার তীব্রতাকে প্রতিবাদের রূপ দিয়ে আশির দশকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন প্রয়াত কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি আমাদের বাংলা সাহিত্যের দ্রোহ এবং প্রেমের কবি। কবি মহলে ‘প্রতিবাদী রোমান্টিক’ শিরোনামেও পরিচিত এই কবি। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের একজন সফল গীতিকার। তার লেখা গান শুধু বাংলাদেশে নয়, ওপার বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয়। কবিতাপ্রেমী ও দ্রোহ অনুরাগীদের কাছে রুদ্রের কবিতা নিঃসঙ্গ রাতের এক অপার স্বস্তি। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৬৬ তম জন্মবার্ষিকীতে পিডিএম ফাউন্ডেশন পক্ষথেকে তারুণ্যের তেজোদীপ্ত কবি রুদ্রকে
জানাই গভীর শ্রদ্ধা।