ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে প্রান হারালেন ক্ষেতলালের এক যুবক

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

বন্ধুদের সাথে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে বিদ্যালয়ের টিনের চালা ধসে প্রান
হারালেন ক্ষেতলাল পৌর এলকার রামপুরা গ্রামের মৃত খলিলুরের ছেলে খোরশেদ (২৩) নামের
এক যুবক। এ ঘটনায় ওই গ্রামের আহত আরও চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শেখ রাসেল মিনি
স্টেডিয়াম মাঠে ফুটবল খেলা চলাকালিন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে
পাঁচবিবির রাধানগর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সঙ্গে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক
সুমনের ফুটবল একাডেমির খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন
করেন স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম। খেলাটি দেখতে আসে প্রায়
লক্ষাধীক দর্শক। স্টেডিয়ামের গ্যালারী ছাপিয়ে দর্শকরা খেলা দেখতে অবস্থান নেন
মাঠের আশপাশের বাসাবাড়ী ছাদ ও স্কুলের ছাদ, টিনের চালা এবং উঁচু গাছের
মগডালে। এ সময় মাঠের দক্ষিণ পাশে সমিরুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ভবনের পরিত্যক্ত ঘরের টিনের চালায় বসে শতাধিক দর্শকের সঙ্গে খেলা দেখছিলেন নিহত
খোরশেদ আলম। হঠাৎ এক সময় ওই বিদ্যালয়ের টিনের চালা ধসে খোরশেদ আলমসহ
টিনের উপরে থাকা সকলেই গড়িয়ে নিচে পরে। এর মধ্যে খোরশেদ গুরুত্বর আহত হয়।
কর্তত্বরত পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় আরো ২০-২৫ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ছানোয়ার হোসেন জানান, স্টেডিয়ামের পাশে একটি বিদ্যালয় ভবনের
টিনের চালায় বসে ১০০-১৫০ জনের বেশি দর্শক খেলা দেখছিলেন। খেলা শুরুর কয়েক
মিনিট পর হঠাৎ দর্শকের চাপে টিনের চালা ভেঙে নিচে পড়ে ২০-২৫ জন আহত হয়।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে একজন মারা যান। গুরুতর আহত আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
রয়েছে।
ক্ষেতলাল পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিল্লুর রহমান জানান, ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে
গিয়ে বিদ্যালয়ের ছাউনি ভেঙে পড়ে আহত খোরশেরদের মৃত্যু হয়েছে। খোরশেদের
বাবার মৃত্যুর পর তার মা মেরিনা এক মেয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে তার স্বামীর বাড়ীতে
বসবাস করছে। বড় ছেলে মালেশিয়া প্রবাসী। এ ঘটনায় নিহত খোরশেদের আরও দুই
সহপাঠী শামীম (২১) ও আশরাফুল ইসলাম (২০) গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের উন্নত
চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
ক্ষেতলাল থানা ওসি জাহিদুল হক বলেন, ঘটনাটি পাঁচবিবি থানায় ঘটেছে। খবর
পেয়ে আমরা নিহতের বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। তাদের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ
দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *