ক্ষেতলালে বিয়ের দাবিতে অনশন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছেলে পলাতক

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিয়ের দাবিতে মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রিপনের বাড়িতে অনশন করে তাসলিমা আক্তার শাপলা (২৮)। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে অতঃপর ছেলে উধাও। ৮ (অক্টোবর) শনিবার সকাল ৮ টার সময় উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সান্জাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা সান্জাপাড়া গ্রামের আবুল কশেম এর ছেলে রিপন হোসেন (২৩) ও মিনিগাড়ী গ্রামের দুলালের মেয়ে তাসলিমা আক্তার শাপলা (২৮) দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ দেড় বছর এই প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে শাপলা রিপন কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রিপন বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আজ সকালে রিপনের বাড়িতে অনশন করে বিয়ের দাবি জানায় শাপলা। পরে স্থানীয় বাবু মন্ডলের নেতৃত্বে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ দুপক্ষের স্বজনদের ডেকে বিয়ের মাধ্যমে আপোষ- মিমাংসা করবার চেষ্টা করলে ছেলে বিয়েতে রাজি হয়, এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হবে এই মর্মে ছেলে বাড়িতে গিয়ে আর ঘটনাস্থলে আসেনি, বর্তমানে সে পলাতক। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রিপনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন, এখানে কি মানুষ মারা গেছে নাকি কোন দূর্ঘটনা ঘটেছে আপনারা কেন এসেছেন। আমি মেয়েকে বিয়ে করবো।
স্থানীয়দের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানায়, ওই মেয়ে বয়সে রিপনের অনেক বড় তবুও ছেলেটাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফাসিয়েছে। মেয়েটি ইতিপূর্বেও বগুড়ায় লেখাপড়া কালে এমন ঘটনা শুনেছি তাছাড়া মেয়েটিও ভালো স্বভাবের নয়।
এব্যপারে ভুক্তভোগী মেয়ে শাপলার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বগুড়া আযিজুল হক কলেজ হতে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। রিপনের সাথে আমার দেড় বছরের প্রেম এবং খুব গভীর সম্পর্ক। রিপন আমার অনেক জুনিয়র তবুও প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেছে। আমি তাকে বিয়ের উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে আজ অনশন করি পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিটিয়ে দিবে বলে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের দুজনার মধ্যে কথা হয়েছে ছেলে আমাকে বিয়ে করতে রাজি আছে। আগে কোথায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কি, না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেনি এটাই প্রথম।
সরোজমিনে ঘটনার স্থলে আরো জানা যায়, শাপলা চৌমনী বাজার ডাস বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় চাকুরি করে। ওই ব্যাংকের বাসা মালিক বাবু মন্ডলের সংঙ্গে বিভিন্ন সময় ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা এমন কি রাত বিরাতেও মেয়েটিকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসেন বাবু মন্ডল৷
এব্যপারে বাবু মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন সে ব্যাংকিং এজেন্ট শাখায় চাকুরি করে, চাকুরীর সুবাধে অনেক সময় গিয়েছি। তাতে কি হয়েছে৷
মামুদপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য হেলাল উদ্দীন বলেন, মেয়টি আমার গ্রামের লোক মারফতে জানতে পারি ওই মেয়েটি সকালে মামুদপুর ইউনিয়ন উদ্যোক্তা রিপনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। পরে আমরা বিষয়টি বিয়ের মাধ্যমে আপোষ মীমাংসা করার চেষ্টা করি এবং এক পর্যায়ে ছেলে রাজিও হয়। এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হবে সব ঠিকঠাক দুপুরে বিয়ে এরমধ্যেই ছেলে রিপন বাড়ি থেকে পালিয়েছে৷
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকালে বিয়ের গুঞ্জন উঠলেও পরে জানা যায় ছেলে বাড়ি হতে উধাও।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *