স্বরূপকাঠিতে বোরখা পড়া ও ধর্ম নিয়ে কটুক্তি স্কুল শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত

আনোয়ার হোসেন।
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) প্রতিনিধি,

শ্রেনি কক্ষে বোরখা পড়া ও ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় স্বরূপকাঠি উপজেলার
কামারকাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা কাকলী রানী মিস্ত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি। বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক সুনীল বরণ হালদার বিষয়টির সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন শিক্ষিকা দোষ স্বীকার করেছেন এবং মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানাযায়,শিক্ষিকা কাকলী বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির সামাজিক সমস্যা ও প্রতিকার বিষয় পড়ানের সময় মুসলমান মেয়েদের বোরখা পড়া এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। ছাত্রীরা বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে জানালে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের
সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা
চেয়ারম্যান আব্দুল হক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকমর্তা মো.মোশারেফ
হোসেন,পৌর মেয়র মো.গোলাম কবির ও ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন, ইউপি
চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী এবং ছাত্রী অভিভাবকসহ
এলাকাবাসীর সাথে বৈঠক করে তদন্ত পূর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে
সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। তবে ওই শিক্ষিকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
এরপর কমিটি সভা করে ওই শিক্ষকা কাকলী রানী মিস্ত্রিকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
ঘটনার বিষয় ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, কারো ধর্ম নিয়ে অযথা
সমালোচনা করা উচিত নয় এবং ধর্ম নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃস্টি করতেও দেয়া
হবে না। দেশের প্রচলিত আইন মেনে সবাইকে চলতে হবে। পৗর মেয়র বলেন ঘটনা
ছোট বড় যাই হোক, যে কেউ ঘটাক তার বিচার হচ্ছে ও হবে। উপজেলা নির্বাহী
অফিসার মো.মোশারেফ হোসেন বলেন, বিচার চাইতে গিয়ে উত্তেজনা সৃস্টি
করা যাবে না। উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা
কারো জন্য মঙ্গল নয়। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষিকা কাকলী রানীর ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।###

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *