আর্থিক সংকটের কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে ভাবখালীর মুক্তি ঈদগাহ মাঠের

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের ভাবখালী নতুন বাজারসংশ্লিষ্ট মুক্তি ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর উদ্যোগে,গ্রামবাসীর অর্থায়নে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলছিল মাঠের মুসল্লীদের ঈদের নামাজের জন্য কাতার (সাড়ি)নির্মাণ কাজ।কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে হঠাৎ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে।

নির্মাণ কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়,কাতার ঢালাই না থাকায় নামাজ আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই স্থানীয় মুসল্লিরা। অপরদিকে ঈদগাহ মাঠের নির্মাণকাজ শেষ করতে না পাড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সভাপতি ও ঈদগাহমাঠের উদ্যোক্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলী ও গ্রামের মুসল্লিরা।

ঈদগাহ মাঠের অবস্থান দূরে হওয়ায় প্রায় ১০-১৫বছর আগে এলাকায় মুসল্লীদের ঈদের জামাত আদায়ে অসুবিধা থাকায় ভাবখালী নতুন বাজারের আশে-পাশে এলাকার লোকজনের সাথে মতবিনিময় করে ঈদগাহ মাঠটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলী। এখানে হাজারো পরিবারের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।মুসল্লিদের বেশিরভাগই অতি দরিদ্র কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতি বছরই এর মুসল্লী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নামাজের কাতার পাকাকরণ কাজ জরুরী হয়ে পড়েছে।পরে গ্রামবাসীর অর্থায়নে ইটপাথর মাধ্যমে একটি কাতার অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নামাজ পড়তে এসে নানারকম প্রতিকূলতার মুখে পড়তেন মুসল্লিরা। পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সম্প্রতি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মসজিদ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলীর উদ্যোগে গ্রামের বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গের সহায়তার অর্থায়নে কাজ শুরু করা হয়।কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে বেশিদূর এগুতে পারেননি তারা।উপরন্তু কারণে নতুন কাতারের নির্মাণ কাজ শুরু করে বেকায়দায় পড়েছেন মুসল্লিরা। এখন এই ঈদগাহ মাঠের জামাতের নামাজ আদায়ও সম্ভব হচ্ছে না ওই গ্রামের মুসল্লিদের।

কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলী জানান- নিজেদের অপরাধী মনে হচ্ছে ঈদগাহ মাঠের কাতারের নির্মাণ কাজ ধরে শেষ করতে পারলাম না গত ঈদুল আজহায় মুসল্লিরা এসে নামাজ আদায় করতে পারেনি, এমনিতেই আমরা গ্রামের সর্বহারা কিভাবে নিজেদের মধ্যে থেকে টাকা আদায় করে এই মাঠের কাতার নির্মাণ কাজ শেষ করি,এর কাজ শেষ করতে আরো প্রায় ৫-৬লক্ষ টাকার প্রয়োজন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এমপি মহোদয়ের কাজে কতবার লিখিত ও মৌলিক আবেদন করেছি,আমাদের এই ঈদগাহ মাঠের কাতার নির্মাণে সরকারি সহায়তার জন্য, কিন্তু কোন সহায়তা না পেয়ে আমরা এখন দিশেহারা।

গ্রামের বাসিন্দারা জানান-আমরা গ্রামের খেটে-খাওয়া গরিব মানুষ। বড় অংকের টাকা দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য আমাদের নেই।জানি না মাঠটির নির্মাণকাজ কবে শেষ হবে।

যদি কোনো হৃদয়বান ব্যাক্তি আর্থিক সহযোগিতা করতে চান,ঈদগাহ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলীর–01922049935
নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন ঈদগাহ কমিটির সদস্যরা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *