ক্ষেতলালে হিমাগারে রাখা আলুতে পঁচন কৃষক ও ব্যবসায়িকরা বিপাকে

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার আয়মাপুর অবস্থিত বেসরকারি একটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলায় শত শত বস্তা আলু পচে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কৃষক ও ব্যবসায়িকরা অভিযোগ করেন, ১২০০০০ এক লক্ষ বিশ হাজার বস্তা ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হাফিজার রহমান হিমাগারে চলতি মৌসুমে এক লাখ ২০ হাজার বস্তা প্রায় আলু সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে নির্দিষ্ট মানের তাপমাত্রা না রাখা ও খরচ বাঁচানোর জন্য অনেক সময় বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেওয়াসহ হিমাগার কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলার কারণে আলু নষ্ট হয়েছে।

গত রবিবার দুপুরে হাফিজার রহমান কোল্ড স্টোরেজ নামের ওই হিমাগারে গিয়ে দেখা গেছে, হিমাগারের সামনের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে পচা আলু ফেলে রাখা হয়েছে। এবং রাস্তার পাশে মেইন রাস্তার জমির নিচে ষ্টোরে কাজের মহিলারা পঁচা আলু ফালাচ্ছে। এবং আশেপাশের মহিলারা আলু বাছাই করে নিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় কিছু লোকজন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বলেন। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই মুশকিল স্টোর যেগুলো আলু পঁচা বের হয় সবগুলো পঁচা আলু রাস্তার সাইডে ফালা হয়। এমন দূর গন্ধ ছড়াচ্ছে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না, বিষয়টি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ক্ষেতলাল উপজেলার ভাসিলা গ্রামের আলুচাষি ব্যবসায়ি মাহবুব হোসেন (৩৬) জানান, তিনি ওই হিমাগারে দুই হাজার বস্তা গ্রানুলা জাতের আলুবীজ সংরক্ষণের জন্য জমা রাখেন। কিন্তু ০৯ সেপ্টেম্বর হিমাগার থেকে ওই আলু বের করার পর দেখা যায়, প্রতি বস্তায় চার থেকে পাচঁ কেজি আলু পঁচা বের হয়।এবং কয়তাহর গ্রামের ওয়াজেদ আলী বলেন আমি এই স্টোরে প্রতিদিন ব্যবসা করি। আলু কিনাবেচা করি যেগুলো আলু কিনি প্রতি বস্তায় তিন থেকে চার কেজি পঁচা বের হয়। এমনইতে আলুর দাম কম তার উপর আবার পঁচা আলু বের হয়। আমরা খুব কষ্টে আছি।

হাফিজার রহমান হিমাগারের ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন বলেন, কৃষকদের অভিযোগ সঠিক নয়। কখনোই হিমাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি। আমাদের হিমাগারের মেশিন খুব উন্নতমানের হাই কোয়ালিটি। উত্তর বঙ্গের মধ্যে ভালো এখানে দূরদূরান্ত থেকে কৃষক ও ব্যবসায়িক আসেন। আলুর কোয়ালিটি ভালো হলে আলু ভালো থাকবে। দুই এক কেজি আলু পঁচতেই পারে।

হাফিজার রহমান হিমাগারের এমডি আশরাফ আলী তালুকদার হিমাগারে না থাকায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন। আমাদের স্টোরে আলু পঁচে নাই ভাই কে বলেছেন কোথায় থেকে এগুলো কথা পান হাওয়াতে থেকে আলু পঁচেগেছে মনে হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *