সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত-১

এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এরশাদ শেখ(৩৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এরশাদ শেখ ওই ইউনিয়নের চর মানিকদির গ্রামের মো.মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী। এ ঘটনায় রাতেই সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া সহ তাঁর লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করা হয়েছে এবং মামুন বিশ্বাস পিতা আক্কাছ বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবনা সহকারী পুলিশ সুপার(সুজানগর সার্কেল) মো.রবিউল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস গ্রুপের লোকজনের সাথে বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম সাজ্জাদ গ্রুপের লোকজনের স্থানীয় প্রত্যন্ত চরা ল চরবিশ্বনাথপুর মাদারতলায় রাস্তার পাশে দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে এবং পূর্বে মোকাই শেখ সহ ওই শেখ গোষ্ঠির সকলে বিএনপি নেতা আজম আলী বিশ্বাসের গ্রুপ করলেও সম্প্রতি তাঁরা বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম সাজ্জাদের গ্রুপে যোগ দেওয়ায় তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আজম আলী বিশ্বাসের চাচাতো ভাই আক্কাজ বিশ্বাসের ছাগল বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম সাজ্জাদ গ্রুপের মোকাই শেখের জমিতে গিয়ে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এবং পরবর্তীতে রাতে উভয় গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় এরশাদ শেখ গুলিবিদ্ধ সহ আরো অন্তত ১১ জন আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এরশাদ শেখকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। আহত গোলাপ শেখ পিতা মোকাই শেখ, জীবন শেখ পিতা সুজন শেখ, মাহফুজা খাতুন স্বামী চাঁদু শেখ, মুন্নী খাতুন স্বামী গোলাপ শেখ এবং সহ অন্তত ১১ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি আজম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল হালিম বিশ্বাস প্রকাশ্যে গুলি করে এরশাদকে হত্যা করেছে। এবং আজম বিশ্বাসের পক্ষে রফিক সহ গ্রুপের অন্যান্যরা বিভিন্ন ধরণের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল হালিম সাজ্জাদ গ্রুপের আরোঅন্তত ১১ জনকে আহত করেছে । অপরদিকে বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস গ্রুপের লোকজনের দাবি করেন সংঘর্ষের এ ঘটনার পরপরই আজম আলী বিশ্বাসের মুরগীর খামারে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া লাইসেন্সকৃত নাকি অবৈধ অস্ত্র দ্বারা এরশাদকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *