May 11, 2025, 6:28 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের গাজনার বিলে কৃষকদের জন্য নলকুপ স্থাপন করে মানবতার এক অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন জেলা প্রশাসক নড়াইলে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে শু-টারগান ও দেশীয় অ-স্ত্রসহ গ্রে-ফতার ৩ পাইকগাছায় তীব্র তাপপ্রবাহে বনবিবির উদ্যোগে পাখির জন্য পানির ব্যবস্থা জুলাই আগষ্টের মা-মলা মনিটরিং সেল হচ্ছে: পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি আশুলিয়ায় সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল বিস্ফো-রণে ভ-য়াবহ অ-গ্নিকাণ্ডে আ-তঙ্কিত এলাকাবাসী সাভারে সরকারি গবাদিপশু খাদ্য তৈরির কারখানায় দু-র্ধর্ষ ডা-কাতি দুইজন আহত জগন্নাথপুরে বন্দোবস্তকৃত মালিকের জায়গা জো-ড়পূর্বক দ-খল ও নারী নি-র্যাতনের প্রতি-বাদে মানববন্ধন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী উইং-এনসিপি প্রতিনিধি দল আইডিইবি আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ সুনামগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র সমর্থনকারী নুরুল আটক, মুক্তির দাবী ছাত্র সমাজের সলঙ্গার আ: আলিম হজ্ব কাফেলার মাধ্যমে ৯৬ জন হজ্বযাত্রীর হজ্বে গমন
আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী দোতলা বাড়ী।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরী দোতলা বাড়ী।

মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী থেকেঃ পিছিয়ে নেই গ্রামাঞ্চল আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এখানেও। মাটির ঘর/ছনের ঘরের জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্রাসাদসম অট্টালিকা। মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান। একটু সুখের আশায় মানুষ কত কিছুই না করছে। মাটির ঘরের শান্তি ইট পাথরের দালান কোঠায় খুঁজে পাওয়া ভার।

তারপরও মানুষ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণের সাথে সাথে পাকা দালান কোঠাই তৈরি করছেন। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর কিংবা মাটির দোতলা বাড়ী। বেশিদিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে একসময় মানুষের নজর কাড়তো সুন্দর এ মাটির ঘর। ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।

আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের বিবর্তনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ চিরচেনা মাটির ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। অতীতে মাটির ঘর গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলে পরিচিত ছিল। এ ঘর শীত ও গরম মৌসুম আরামদায়ক তাই আরামের জন্য গ্রামের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক বিত্তবান ও মাটির ঘর তৈরি করতেন।
জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই মাটির ঘরের প্রচলন ছিল। এটেল বা আঠালো মাটি কাঁদায় পরিনত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় থড় অথবা টিনের ছাউনি দেয়া হত। মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের তিন-চার মাসের অধিক সময় লাগতো। গৃহিনীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে তাদের নিজ বসত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলতেন।
এক সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। তবে বর্ষার সময় মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বেশি। ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু কালের আর্বতনে দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে সে চিরচেনা শান্তির নিড় ‘মাটির ঘর’। গোদাগাড়ী উপজেলার কম বেশি সব গ্রামেরই দেখা যেতো শান্তির নীড় ‘মাটির ঘর’ কিন্তু সে মাটির ঘর এখন আর চোখে পড়ে না।

গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের সৈয়দপুর, এনায়েতপুর গ্রামের দুলাল হাজির
বাড়িতে সেই পুরোনো স্মৃতিভরা শান্তির নীড় মাটির ঘরে চোখ পড়লো, কথা হলো বাড়ির মালিকের সাথে তিনি বলেন, বাবা ও দাদাদের সেই পুরোনো স্মৃতি ধরে রাখতে এখনো মাটির ঘর রেখে দিয়েছি। তবে যুগের সাথে তাল মেলাতে এখন অনেকে ইটের ঘর তৈরি করছে, তাই ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর।

গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল গণি মাসুদ জানান, বাপ দাদার স্মৃতি এখনও ধরে রেখেছি। যা এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রচন্ড তাপদাহে বাড়ির লোকজন শান্তির পরশ হিসেবে আমাদের মাটির ঘরকে বেঁছে নেয়। বিদ্যুৎ না থাকলেও মাটির দোতলায় আরামে বসবাস করা যায়।

দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ইফতেখার হোসেন বলেন, মাটির ঘর বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের বিবরর্তনে অধিকাংশই মানুষ মাটির ঘর ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় অনেক লোকের বসবাসের জন্য ইটের ঘরকে প্রথম প্রচন্দের তালিকা নিয়ে আসছে। তাই তো দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে ওই সব মাটির ঘরবাড়ী।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD