নড়াইলে বিদ্যালয়ের মাঠে সড়ক নির্মানের সমগ্রী, ঝুকিতে স্কুল শিক্ষার্থীরা

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ

নড়াইলে বিদ্যালয়ের মাঠে সড়ক নির্মানের
সমগ্রী, ঝুকিতে স্কুল শিক্ষার্থীরা। নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলার জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সড়ক নির্মানের সমগ্রী রেখে স্কুলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ উঠেছে পিজুস এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার স্বপন দাশের বিরুদ্ধে।
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়, জানান,
রবিবার (২১ আগস্ট) সরোজমিনে গেলে দেখা যায় সরকারি সড়কসহ স্কুলের মাঠে সুড়কী, পাথরকুচি ও বালুসহ নানা উপকরণ রেখেছেন। রাস্তা দখল করে এসব সামগ্রী রাখায় হয়ে পড়েছে সংকির্ণ। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এমনকি স্কুলের ক্লাসরুম ঘেষে পিচ ও বিটুমিন জালানোর চুলাও তৈরী করা হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ক্ষতিকর।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক খোকন চন্দ্র দাশ জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া রাতে এসব নির্মাণ সামগ্রী স্কুল চত্বরে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সাথে সাথে এটিও এবং টিও কে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু আজ স্কুলে এসে দেখেন ক্লাস রুমের পিছনে পিচ জালানোর জন্য চুলাও তারা খুড়েছে তারা।
আমরা স্থানীয় লোকজনসহ কমিটির মাধমে ইউএনও স্যারের অনুমতি ছাড়া স্কুল চত্বরে আগুন না জালানোর অনুরোধ করেছি ঠিকাদারকে । কিন্তু কোন কথা না শুনে কতৃপক্ষের দোহাই দিয়ে ২১ আগষ্ট সকাল থেকে নির্মান সামগ্রী প্রস্তুতে আগুন জ্বালিয়ে পরিবেশ নষ্ট করেছে। রাসায়নিক পদার্থের ধোঁয়ায় অনেক শিক্ষার্থীরা অসুস্থবোধ করায় বাড়ী চলে গেছে বলে প্রধান শিক্ষক মুঠোফোনে জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দিন জানান, এখানে আগুন জ্বালালে কোমলমতি শিশুরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এটা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাথায় রাখতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সালামাবাদ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য শামিম বলেন, স্কুল সীমানায় পিচ জ্বালালে কোমলমতি শিশুদের শ্বাসকষ্ট সহ নানা রোগে আক্রন্ত হওয়ার ঝুকি রয়েছে। তাই শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুলের জায়গা থেকে নির্মান সামগ্রী সরিয়ে নেয়া হোক।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান মিটু বলেন, স্কুলের দক্ষিনে একটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে, পূর্বে যারা কাজ করেছে তারা নির্মাণ সামগ্রী ওখানেই রেখেছে। স্কুলের ভিতর আগুন জ্বালালে ক্যামিকেলের ধোঁয়ায় বাচ্চাদের ক্লাসে বসা দুরূহ হয়ে পড়বে। এছাড়া মালামাল বহনের বিভিন্ন প্রকার ভারী যানবহন স্কুল চত্বরে আসা যাওয়া করলে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
ঠিকাদার স্বপন দাশ বলেন, ওই স্কুলের সহ-সভাপতিকে বলে তিনি নির্মান সামগ্রী স্কুল চত্বরে রেখেছেন। কতৃপক্ষের অনুমতি পেলে তিনি সড়ক নির্মান সামগ্রী তৈরির কাজ করবেন।
কালিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাশ এ বিষয়ে এলজিডি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এখনই কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *