ফুলবাড়িয়ায় বড়’মা (জেঠির) হাতে ভাতিজি নাফিজ নিহত

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বালিয়ান ইউনিয়নে নয়নবাড়ি প্রামে পাষন্ড বড় মা ( জেঠি) লোহার শাফল দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ী আঘাত করে শিশু আব্দুল্লাহ আল নাফিজ (৬) কে খুন করেছে। এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘাতক বড় মা শরিফা আক্তার( ৪০) কে আটক করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, নয়নবাড়ি গ্রামে দুই ভাই বিদ্যুৎ শ্রমিক স্বপন মিয়া ও সোহাগ তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন। নানা টুকিটাকি বিষয় নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবত দুই ভাইয়ের মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকত। এসব নিয়ে এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার শালিস ও করেছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে পাশ^বর্তী বরুকা ঠেংশি পাড়ার খোকা মিয়ার শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ আল নাফিজ খালু সোহাগের বাড়িতে বেড়াতে আসে।
ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্বপন মিয়ার স্ত্রী শরিফা আক্তার তাদের রান্না ঘরে পিঠা তৈরী কালে বড় মা’র কাছে যায় ৬ বছরের শিশু নাফিজ। এ সময় বড় মা লোহার শাবল দিয়ে শিশু নাফিজের মাথায় এলোপাথাড়ী আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘাতক বড় মা শিশু নাফিজ মারাগেছে ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পাশের রুমে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। বেশ কিছুক্ষন পর শরিফা আক্তারের ভাসুর সোহাগ মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৪) তার খালাত ভাই শিশু নাফিজকে বড় মা’র ঘরে খুজতে গেলে লোহার শাবল দিয়ে তাকেও মাথায় আঘাত করে। এ সময় জিহাদ চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে দেখতে পায় ঘরের ভেতর শিশু নাফিজ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়রা দুজন’কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারে শিশু নাফিজ বেচে আছে। এ সময় নাফিজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে গুরুতর আহত জিহাদকে ভর্তি করে।
রাত সাড়ে বারোটার দিকে লোহার শাবলের এলোপাথাড়ী আঘাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শিশু নাফিজের মৃত্যু হয়। ফুলবাড়িয়া থানায় ঘাতক বড় মা’র দেবর সোহাগ মিয়া বাদি হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘাতক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *