July 18, 2025, 1:27 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষো-ভ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান গোপালগঞ্জে হাম-লার প্রতি-বাদ জানিয়ে ‎ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের বিক্ষো-ভ শার্শা সীমান্তে বিজিবির অভি-যানে ৪৬ লাখ টাকার চো-রাচালানের পন্য আ-টক এনসিপির পদ-যাত্রায় হাম-লার প্রতি-বাদে সুজানগরে জামায়াতের বিক্ষো-ভ মিছিল ও সমাবেশ চতুর্থবারের মত রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন পাইকগাছা হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মা-রামারি দেখে বৃদ্ধার মৃ-ত্যু খুলনার পাইকগাছা ও কয়রাবাসীর প্রাণের দাবি শিববাটি ব্রীজের টোল স্থায়ীভাবে অব-মুক্ত দাবিতে মানববন্ধন অর্থের বিনি-ময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্য বান্ধব ডিলার নিয়ো-গের অভি-যোগ লাপা-ত্তা টিসিএফ আলোচনায় নেই, স্মৃতি-তে নেই—জুলাই শ-হীদ দিবসে উ-পেক্ষিত অ-ন্ধ শিক্ষার্থী
বাবার মৃত লাশ নিয়ে প্রতারকের বাড়িতে

বাবার মৃত লাশ নিয়ে প্রতারকের বাড়িতে

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
বাবার মৃত লাশ নিয়ে প্রতারকের বাতে অবস্থান
দবিরুল ইসলাম প্রধান (৫৫) ছেলের চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত হন, টাকা ফেরৎ চাইতে গিয়ে হন লাঞ্ছিতের শিকার। অপমান সইতে না পেরে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। লাশ নিয়ে প্রতারকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন তারা।

ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার। মৃত দবিরুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত তজমল ইসলামের ছেলে।

বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে ওই এলাকার জুলফিকার আলম প্রধান নামের ওই প্রতারকের বাড়িতে মৃত দবিরুলের লাশ নিয়ে অনশন করছেন এলাকাবাসী। এঘটনায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত জুলফিকার।

এর আগে, দুপুরে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দবিরুল।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রধানপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় লাইব্রেরীয়ান পদে ছেলে জাকিরুল ইসলামের চাকরির জন্য দুই বছর আগে মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি জুলফিকার আলম প্রধানকে চাহিদা অনুযায়ী ১২ লাখ টাকা দেন দবিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন আশ্বাসে রাখলেও গত দুই মাস আগে জানানো হয় চাকরি দেয়া হবেনা। টাকা ফেরত দিতেও করেন টালবাহানা। মাসখানেক আগে টাকা চাইতে গেলে দবিরুলকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় জুলফিকার। বাড়ি এসেই স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন দবিরুল। চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হলেও গত ৭ আগষ্ট ফের স্ট্রোক করেন তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসারক৭ জন্য রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান তিনি।
স্বজনদের দাবি- টাকার চিন্তায় স্ট্রোক করেছেন দবিরুল। যতক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা হবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত লাশ নিয়ে অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা।

মৃত দবিরুলের ভাই বদিরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ১২ লাখ টাকা দাবি করে জুলফিকার। আমার বড় ভাই জমি এবং গরু বিক্রি করে তাকে ১২ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু জুলফিকার চাকরি না দিয়ে প্রতারণা করেছে। টাকা ফেরৎ চাওয়ায় আমার বড় ভাইকে লাঞ্ছিতও করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রথমবার স্ট্রোক করার পর চিকিৎসার জন্য মাত্র ৫ হাজার টাকা চাইতে গেলে জুলফিকার এবং তার পরিবারের লোকজন ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয় আমার বড় ভাইকে। এই অপমান সইতে না পেরে আমার ভাই আবারও স্ট্রোক করেন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। টাকা ফেরৎ না পাওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন হবেনা বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুলফিকার আলম প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাতমেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, এমন একটি ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছিপহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD