December 26, 2024, 4:53 pm
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএমবার) এর নির্দেশে অপরাধ নির্মূল ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান (পিপিএম-সেবা)(অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় পরিচালিত কোতোয়ালি মডেল থানার এই অভিযানে অপরাধীরা আতঙ্কে থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস শুরু হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১০ আগস্ট ২০২২) তারিখ সকাল পর্যন্ত কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডিকৃত হারিয়ে বা খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে মোবাইলগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার)। এদিকে দীর্ঘদিন পর হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে খুশি মোবইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) এর নির্দেশে কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই আমীর হামজার মাধ্যমে এই মোবাইল গুলো উদ্ধার করেছে। বুধবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানার (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ প্রকৃত মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণ তাঁদের মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে খুব খুশি।
খোয়া যাওয়া মোবাইলের মালিকগণের মধ্য হতে রাজমিস্ত্রী হাসান মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ, কিছু কিছু টাকা জমিয়ে খুব কষ্ট করে মোবাইল কিনেছিলাম। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন ফোনটি আর ফিরে পাবেন না। তবে ৫ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর ফোনটি উদ্ধার হওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ছোয়া মণি বলেন, ১ মাস আগে আমার মুঠোফোন হারিয়ে যায়, অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। হঠাৎ করে গতকাল কল দিয়ে জানানো হয়েছে যে আমাদের ফোন পাওয়া গেছে। হারানো মুঠোফোন হাতে পেয় পুলিশের এই তৎপরতায় আমরা খুব খুশি। এএসআই আমীর হামজাকে ধন্যবাদ জানাই।
এদিকে ওসি মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, বেশিরভাগ মোবাইল হারানো এবং চুরির ঘটনা থানায় অভিযোগ হলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করি। হারানো বা চুরি হওয়া মোবাইলগুলো জেলার ভেতরে থাকলে উদ্ধার করা সহজ হয়। বাহিরের জেলা হলে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। অপরাধ দমন ও মানুষের সেবা দানের ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মুঠোফোন উদ্ধারসহ অপরাধীদের শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কোতোয়ালী পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এএসআই আমীর হামজা বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারপরও আমরা পেশাদার। অভিযোগ পেলে হারানো বা খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করি। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিয়েছি।
এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত মোবাইল মালিকরা হলেন ফারুক, ছোয়া মণি (ছাত্রী), বিল্লাল মাকসুদুর, নাঈমুর, হাসান মিয়া (রাজমিস্ত্রী) কুদ্দুস, আরিফ (অটোচালক), আনোয়ারুল ইসলাম, হাসান মিয়া, সম্পা সরকার, নারী উদ্যোক্তা, ইসতিয়াক, মিজান, সেলিম, বদরুল আমিন, (সাংবাদিক) হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফেরত পেয়ে তাদের সকলের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। পরিশেষে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খোয়া যাওয়া ১৫টি মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিকগণ।