কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজারে প্রতি মুরগ বিক্রিতে তিনশ গ্রাম ওজনে চুরি

মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে মোরগ বিক্রি কালে পাল্লাতে দেয়ার পর পরই কৌশলে বাটনে ক্লিক করে ফেলেন বিক্রেতা আর এতেই ওজন বেড়ে যায় প্রতি মোরগে তিনশ গ্রাম।গতকাল ১০ ই আগষ্ট রাত দশটার দিকে এক ব্যাবসায়ী ও সংবাদ কর্মী রাজগঞ্জে মোরগ কিনতে গেলে বিক্রয়তা ফয়সালের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।এতে সংবাদ কর্মীর
সন্দেহ হয়। দোকানটি থেকে সে চারটি মুরগ ক্রয় করার জন্য চারটি মোরগ ওজন শেষে ১১৬০ টাকা হয়।সংবাদ কর্মী জানায় ওজন দেয়ার সময় ফয়সাল নামের লম্বা কালো ছেলেটি হুট করে ডিজিটাল পাল্লার বাটনে চাপ দেয়ার পর আমার সন্দেহ হয়। ড্রেসিং করার পর মুরগির সাইজ ও ওজনের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আরো তীব্র হয়। পরে আমি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো তিনটি রাতা মুরগ দিতে বলি। তখন তিনটি মুরগ পাল্লায় দেয়ার সাথে সাথে ফয়সাল আবারো বাটনে ক্লিক করে ফেলে। ওজন হয় সাড়ে তিন কেজির বেশি। তখন আমি চ্যালেঞ্জ করে জবাই করার আগে জিরো করে পুনরায় মাপ দেয়ার কথা বলি, তখন ওজন দাড়ায় দুই কেজি নয়শ গ্রাম। আর আগের চারটি মুরগের ওজন ছিল সাড়ে চার কেজি। ড্রেসিং করে পাই মাত্র আড়াই কেজি। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করে দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের ডাকতে অন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করি। তখন শুরুতে বাজার কমিটির সহ-সভাপতি এসে পাল্লায় মুরগ থাকা অবস্থায় মাপে কারচুপির বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতি দ্বয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সভাপতির দোকানে বিচারে বসেন। মালিকের নাম চর্থার রাসেল মিয়া।তার বাবার নাম মোস্তফা। ফয়সাল ও নিরব তাদের মালিকের নির্দেশেই এমন চুরি করে থাকেন বলে শেষ মুহুর্তে স্বীকার করেন। এভাবে তারা প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সাথে জুলুম করে আসছিলেন। বিচারে দুই কর্মচারীকে হালকা পিটিয়ে, আমার পা ধরে ক্ষমা চাওয়ানো হয় এবং দোকানটি ১৫দিন বন্ধ রাখার রায় দেয়া হয় পাশাপাশি দুই কর্মচারী রাজগঞ্জ বাজারে আর কোন দোকানে চাকরি করতে পারবেনা বলে রায় ঘোষণা করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। প্রকৃত মালিক কে খোজে পাওয়া যায় নি,
তবে মালিকের বাপ উপস্থিত ছিলেন।
আমাকে যে পরিমান কম দেয়া হয়েছিল সেটির জন্য নতুন করে আরেকটি মুরগি দেওয়া হয়। আমি কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেবকে বিষয়টি অবগত করে বিচার মেনে বাসায় চলে যাই।
দোকানের নাম মেহেরাজ ব্রয়লার হাউজ, আলু পট্টি, রাজগঞ্জ।

সংবাদ কর্মী আরো জানান সকলের সচেতনতার জন্যই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়।এবিষয়ে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা যথাসময়ে বিচার করে দিয়েছি এবং ঐ সংবাদ কর্মীকে সসম্মানের তার প্রাপ্য মোরগ আদায় করে দিয়েছি।দোকান টি ও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *