ফিলিং স্টেশনকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তা

হেলাল শেখঃ রাজধানীর ফিলিং স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
শনিবার (৬ আগস্ট ২০২২ইং) তারিখে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে তদারতিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাগফুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
উক্ত অভিযান পরিচালনাকালে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন করিম এন্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের ২টি ডিসপেনসিং ইউনিট অকটেন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায় এবং ১টি ডিসপেনসিং ইউনিটে প্রতি ৫লিটার অকটেনে ৫৪০ মিলিলিটার ও অপরটিতে ৪৯০ মিলিলিটার অকটেন কম পাওয়া যায়। অকটেন ডিসপেনসিং ইউনিটে (অকটেন পরিমাপক যন্ত্রে) কারচুপি, ডিজেল বিক্রির উদ্দেশ্যে গতকাল রাত ১২ টার আগেই ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখা ইত্যাদি অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে ভোক্তা-অধিদপ্তর কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান। একই সাথে ডিসপেনসিং ইউনিট ২টি থেকে অকটেন বিক্রি জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার পূর্বক জরিমানা প্রমান করা এবং সকলের উপস্থিতিতে ডিসপেনসিং ইউনিট ২টি কারেকশন করাসহ ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন মর্মে অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য এর পূর্বে রমনা ফিলিং স্টেশনে তদারকি করে মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া গেলেও বিস্ফোরক ও ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য ফিলিং স্টেশনটিতে ২৭ হাজার ৬শ’ ২৩ লিটার অকটেন বর্তমান মজুদ পাওয়া গেলেও বিনা নোটিশে গতকাল বিকেল ৬টা থেকে ফিলিং স্টেশনটি বন্ধ রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রবেশ দ্বারে “ভিআইপি চলাচলে নিরাপত্তার সার্থে সাময়িকভাবে তেল বিক্রয় বন্ধ” লেখা টানানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। সত্যি কোনো ভিআইপি চলাচল করছে কিনা এবং সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রতিষ্ঠাটিকে অনুরুপ অনুরোধ/নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে সেব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক এ ধরণের অভিযান ও তদারকি অব্যাহত থাকবে। জানা গেছে, ঢাকা ও সাভার আশুলিয়াসহ প্রায় সব এলাকায় একই পরিস্থিতি কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভুমিকা আরও কঠোর হওয়া দরকার বলে মনে করেন অনেকেই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *