মোংলায় দুর্বৃত্তরা গলায় দাঁ ধরে ও চেতনাশক স্প্রে করে লুটে নিয়েছে স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মালামাল

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক স্প্রে করে ও ধারালো অস্ত্র ধরে লুটে নিয়েছে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের স্বর্ণাংকার, টাকাসহ অন্যান্য মালামাল। ঘটনার রাত সাড়ে তিনটা থেকে এখনও পর্যন্ত অচেতন রয়েছেন ওই পরিবারের চার সদস্য।
উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী হরেন রায় ও তার ভাই শ্যামল রায় জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের খাবার পেয়ে বাড়ীর কর্তা হরেন রায় পাশ্ববর্তী তার চিংড়ি ঘেরে চলে যান। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত তার ঘরের পশ্চিম পাশের জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে থাকা তার স্ত্রী মনোরমা রায়, ছেলে অলোক রায়, রতন রায়, রতন রায়ের স্ত্রী লিনা রায়কে ঘুম থেকে ডেকে সজাগ করেন। এরপর তারা ঘরের লোকজনের গলায় দাঁ ধরে নাকে-মুখে স্প্রে করেন। স্প্রেতে অচেতন হওয়া আগেই দাঁয়ের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা আড়াই লাখ টাকা মুল্যের রুলি, চেইন, কানের দুল, হাতের শাখার বাঁধানো স্বর্ণের গহনা, ল্যাপটপ ও নগদ কয়েক হাজার টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। পরে শুক্রবার ভোরে হরেন ঘরে এসে দেখেন সবাই অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তারপর হরেন তার ভাই শ্যামলকে সাথে নিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে দেখে বাড়ী নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। হরেন ও শ্যামল বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক বলেছেন, এর কোন চিকিৎসা নেই, তাদেরকে চেতনানাশক স্প্রে করায় ঘুমেরভাব রয়েছে। চেতনাশকের ক্রিয়া কেটে গেলে ঘুমের রেশও কমে যাবে, তখন এমনিতেই তারা চেতন ফিরে পাবেন। এরপর সকালেই হাসপাতাল থেকে আমরা তাদেরকে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তাদের চেতন হয়নি, এখনও চারজনই অচেতন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বর মোঃ ইলিয়াছ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে, ওই বিষয়ে পরে কথা বলবো বলে ফোন রেখে দেন।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমাদেরকে কেউ কিছু জানায়নি, কোন অভিযোগও দেয়নি। ভুক্তভোগীরা জানালে কিংবা অভিযোগ দিলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *