গোদাগাড়ীতে ইসতিসকার সালাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজশাহী থেকে মোঃ হাযদার আলী।।রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালবাগ হেলিপ্যাড মাঠে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরা, অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে জনকল্যাণ সামাজিক পরিষদের উদ্যোগে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। রোববার সকাল ৮টায় গোদাগাড়ী হেলিপ্যাড মাঠে ইসতিসকার সালাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজের পূর্বে কুরআন ও হাদিস থেকে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা পেশ করেন কুঠি মসজিদের ইমাম মাওঃ মনিরুল ইসলাম, শাহ সুলতান রহঃ কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ও মহিশালবাড়ী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা, মোঃ দুরুল হোদা ও শায়েখ মোঃ আবুল কাশেম। শায়েখরা বলেন

বিশেষ করে যখনই অনাবৃষ্টি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বেড়ে যায় তখনই নামাজে ইসতিসকা আদায় করা হয়। ইসতিসকার সালাত আদায় করা নফল ইবাদত। তবে মহামারি বা দুর্যোগ এলে এই সালাতের গুরুত্ব অনেক।

এ নামাজ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেয় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিবসহ শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষ।
নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত করেন কুমোরপুর আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়েখ আবুল কাশেম,
নামাজ শেষে শত শত মুসল্লিকে সাথে নিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে কান্নাকাটি করেন। অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
একনিষ্ঠ তাওবা করা অর্থাৎ তাওবাতুন নসুহার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে অতিরিক্ত ১২ তাকবিরের মাধ্যমে ২ রাকায়াত সুন্নত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই। তবে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করতে হয়।
এ বিষয়ে শায়েখ আবুল কাশেম বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহে দেশের মানুষের বিপদ-আপদ ও দুঃখ-কষ্ট হতে থাকলে প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা সুন্নত। একেই আরবিতে বলা হয় ‘ইসতিসকা’ অর্থাৎ পানি প্রার্থনা করা।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে- রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার সময় বলতেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাকে এবং তোমার পশুদের পানি দান করো। আর তাদের প্রতি তোমার রহমত বর্ষণ করো এবং তোমার মৃত জমিনকে জীবিত করো।’

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *