December 26, 2024, 7:40 pm
রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সেজে কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চাটখিল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চাটখিল উপজেলা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাহামিনা আক্তার বাদী হয়ে দায়েরকৃত এজাহারে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনিকে আসামি করা হয়েছে।হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে রুবিকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় পুরো চাটখিলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার তাহমিনা আক্তারের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সানজিদা আক্তার ( ২৪) নামের গৃহবধূ জ্বর জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ শে জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২য় তলার ১ নং কেবিনে ভর্তি হয়। ২০ শে জুলাই দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে মঞ্জুরুল হায়দার জনি পিতা মৃত শাহাদত উল্লাহ ঠিকান সুন্দরপুর ( হারিছ ভবন ৬ষ্ঠ তলা), থানা চাটখিল নোয়াখালী, সানজিদার কেবিনে প্রবেশ করে। এ সময় সানজিদার কেবিনে থাকা তার আত্মীয়দের লুঙ্গি ও গামছা ক্রয় করার অজুহাতে দোকানে পাঠিয়ে দেয় জনি। কেবিনের দরজা বন্ধ করে সানজিদার শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন হয়রানী করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। সানজিদার ডাক চিৎকারে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও কর্তব্যরতরা ছুটে আসলে জনি পালিয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখার সময় শুক্রবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। চাটখিল থানার মামলা নং ১৩। ওসি গিয়াসউদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত জনিকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাহমিনা আক্তার কে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুল ইসলাম নয়নকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। চার কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিটির এক সদস্য নয়া বঙ্গবাজার কে জানান শনিবার সকাল ৯’টায় কমিটির বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিপ্লোমা ডাক্তার মনিরুল হায়দারের ছোট ভাই। তাছাড়া হাসপাতালে সামনেই রয়েছে হায়দার মেডিকেল নামে তাদের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে মনিরুল হায়দার মনির তার ডিউটি বাদ দিয়ে হায়দার মেডিকেলে বসেই বেশী সময় ব্যয় করেন। এখানে বসেই তিনি ওষুধ বেচাকেনা করে থাকেন। এছাড়া তিনি যেসব প্রেসক্রিপশন দেন এগুলোর ওষুধ তার দোকান থেকে ক্রয় করার জন্য রোগীদের উপদেশ দিয়ে থাকেন।