December 27, 2024, 3:00 am
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলায়
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী। জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই সোমবার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
সিদ্দিকুর রহমান জানান, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ভাবে
জরিপ করা হয়, যার মধ্য পাঠদান পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়ার আগ্রহ তৈরি ও নিয়মিত উপস্থিতিসহ বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করে একাধিক শিক্ষকদের নির্বাচিত করে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতায় যে শিক্ষক প্রথম স্হান অধিকার করেন তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এবারে তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানীকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি
শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়েছে।এদিকে ১৯ জুলাই মঙ্গলবার তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে
কলেজ চত্ত্বরে শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রাণীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় অধ্যক্ষ অনুকূল কুমার ঘোষ বলেন, উপজেলার মধ্যে অত্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় আমরা গর্বিত। শুধু শ্রেষ্ঠ শিক্ষক না আমাদের কলেজ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাপশি রাবিয়া শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন এবং ক্যারাত ও কবিতা আবৃতিতেও প্রথম স্হান অধিকার করে পুরস্কৃত হয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে সকল শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম নিয়মিত পাঠদান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার জন্যই কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রথম স্হান অধিকার করে কলেজকে সম্মানিত করেছেন। আগামীতে আশা করছি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা একদিন না একদিন বিজয়ী হয়ে পুরস্কৃত হবেন বলে আমার দৃঢ বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন এই কলেজ তানোর সহ আশপাশের উপজেলায় নারী শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, যেহেতু এটি উপজেলার প্রথম মহিলা কলেজ সেহুতু আমাদের মাননীয় সাংসদ মহোদয়কে অনুরোধ করে বলতে চাই তিনি যেনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কলেজ সরকারি করণে। অন্যদিকে
শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী জানান, তার প্রায় ২৫ বছরের শিক্ষকতায় এটিই প্রথম এ্যাওয়ার্ড তিনি অত্যান্ত আনন্দিত ও গর্বিত। সবাই নিজের কাজের জন্য স্বীকৃতি আশা করেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যতদিন বেচে থাকব ততদিন যেন সঠিক ভাবে পাঠদান করাতে পারি এবং মাননীয় সাংসদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কলেজটিকে যেনো সরকারিকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ মুরসেদ আলী মৃধা, প্রভাষক মুনসেফ আলী। এসময় কলেজের শিক্ষক কর্মচারী সুধীজন ও শিক্ষার্থীরা উপস্হিত ছিলেন।