January 2, 2025, 9:45 pm
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়ার পদ্মা নদীর তীরে উপচে পড়া ভিড় জমেছে ভ্রমণ পিপাসুদের। সপরিবারে এসে ঘুরে ফিরে পদ্মার পানি স্পর্শ করে আনন্দ উপভোগ করছেন অনেকে। শুক্রবার বিকালে ছেলে,মেয়ে ও ভ্রমণবিলাসী স্ত্রী পান্না আক্তারকে নিয়ে নদীর পাড় ঘুরতে এসেছেন ৩০ কিলোমিটার দূরের পৌর শহর থেকে পোস্ট মাস্টার আফজাল হোসেন। তিনি জানান, সাতবাড়ীয়ার(মিনি কক্সবাজার) উপভোগ করতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে। শুধু তিনিই না তার মতো হাজারো পরিবার এখানে ঘুরতে এসেছেন।সুজানগর পৌর শহর থেকে ঘুরতে আসা ফিরোজ হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ক্লান্তি, অলস সময় ও নাগরিক কর্মব্যস্ত জীবনে হাঁপিয়ে অনেকেই প্রশান্তির ছোঁয়া খোঁজেন। তাই শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ও ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে গ্রামীণ পরিবেশ মনোরম দৃশ্যমাখা পদ্মা নদীর সাতবাড়ীয়ার কা নপার্ক ঘুরতে আসেন। এখানে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা থাকে প্রায় সময়। আর হাতের কাছে এমন সুন্দর, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মিনি কক্সবাজার নামক নদীর কোলঘেঁষা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কা নপার্ক। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্যবিহীন প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্যমাখা গ্রামীণ পরিবেশে বনভোজনের স্থান হিসেবেও নির্বাচন করা হয়ে থাকে স্থানটি। অনেকে সাতবাড়ীয়ার পদ্মা নদীর পাড়ের ব্লকগুলোতে বসে আপন মনে ভাবতে থাকেন প্রিয়জনের কথা, দেখতে পারেন সূর্যাস্তের মত অপরূপ দৃশ্য, পাশে বিশাল আকৃতির খোলা জায়গা। মুসলমান ও হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনগুলোতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। নদীতে ভ্রমণ করার মতো নৌকার ব্যবস্থা থাকে সবসময় । এখানে আশেপাশে ভালো মানের ২-৩টি খাওয়ার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, পদ্মার অববাহিকাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিলে এএলাকাটি একটি ভাল পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব। এদিকে এ অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিকে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।