মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নির্মিত বহুতল ভবন বরাদ্দের অভাবে দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তহবিল গঠণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এবার সেই তহবিলে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, খাদ্য সমস্যা সমাধানে, শিক্ষা এবং দেশের স্বার্থে দলমত দেখা ঠিক নয়। হাসপাতাল চালু করতে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। আমাদের এই অনুদান শুধু দলের পরিচিতির জন্য না, এটা মানবিক কাজ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আমাদের গর্বের প্রিয় দেশ। এই দেশ গড়ার জন্য আমরা দল-ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে কাজ করবো। আর চিকিৎসা, শিক্ষা, দেশের সার্বভৌমত্ব- এসব ক্ষেত্রে আমরা দল এবং ধর্মের পরিচয়ে কাজ করবো না। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো। আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, আমরা সবাই বনি আদম- ভালো কাজ করার জন্যই আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। সে হিসেবে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব।
পরে মাওলানা আব্দুল হালিম দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে এর কোন মূল্য নেই। জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তির জন্যই আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কথা বলছি। গণভোট এবং নির্বাচন দুটোই হতে হবে। একটি হবে একটি হবেনা এটা আমরা মানবোনা।
মাওলানা আব্দুল হলিম আরো বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের বিরোধ নেই। যে যার মত রাজনৈতিক মতামত পেশ করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ৮টি দল মিলে গণভোট সহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে এক হয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, গণ অধিকার পরিষদের জেলা শাখার আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ।
Blog
-

পঞ্চগড় হাসপাতালের নতুন ভবন চালু করতে জামায়াতের ১০ লাখ টাকা অ-নুদান
-

পটিয়ায় ইজারা বিহীন বালু উ-ত্তোলন যুবদল নেতার
মহিউদ্দিন চৌধুরী।।
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদরের শ্রীমাই খালে স্থানীয় এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে ইজারা বিহীন অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব, অন্যদিকে খালের তীর ভাঙ্গন ও কৃষিজমি চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসদরের ৭নং ওয়ার্ডের বাহুলী এলাকায় প্রতিদিন গভীর দিনরাত সমান রাতে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। প্রশাসনের নিরব ভূমিকার সুযোগে তারা দিন-রাত ডজনখানেক ট্রাকে বালি পরিবহন করছে। এতে দৈনিক প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বালু সিন্ডিকেট। তাছাড়া বালুর পিকআপ চলাচলের কারণে সড়কের বেহাল দশা তৈরি হয়েছে, আর স্থানীয়দের নিরাপত্তাও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবদল নেতা এস. এম. রেজা রিপন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এনামুল হক এনামের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় প্রতিদিন খালের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
খালে বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির হাইড্রোলিক অ্যালিভেটর ড্যাম। পাশাপাশি খালের দুই তীরের ভাঙ্গন রোধে ৪.৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা এবং ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পটিয়া পৌরসভা ও হাইদগাঁও, কেলিশহর ও কচুয়াই ইউনিয়নের প্রায় ১,১০৮ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়া যাবে। ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া এই প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। সম্পন্ন হলে শুষ্ক মৌসুমে এটি ৩৭ কোটি লিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হবে, যা এলাকার কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
কিন্তু অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে খালের দুই তীর ভেঙ্গে পড়ছে, পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং পুরো প্রকল্পের কাঠামো হুমকির মুখে পড়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইজারাবিহীনভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হাইদগাঁও এলাকার কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। সরকার যেখানে শত কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ করছে, সেখানে অসাধু সিন্ডিকেট খাল ভেঙে কৃষিজমি ধ্বংস করছে।’
পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবসার উদ্দিন সোহেল বলেন, ‘এস. এম. রেজা রিপন বর্তমান যুবদলের কমিটির কেউ নন। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যুবদলের নাম ব্যবহার করতে পারেন।’
রফিক নামের এক কৃষক জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই অসাধু চক্র আমাদের জমি নষ্ট করছে। প্রশাসন জানলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা দ্রুত প্রতিকার চাই।’
বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এনামুল হক এনাম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘কোনো চোর-ডাকাত বা সন্ত্রাসীর স্থান আমার দলে নেই। রিপন অপরাধে জড়িত থাকলে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিক। আমার নাম বা দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করলে তার দায় আমি বা দল নেবে না।’পটিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা বলেন, ‘ওই খালে কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। কেউ যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান জানান, ‘কয়েকদিন আগেও আমরা অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করেছিলাম। যদি পুনরায় এমন কাজ হয়, তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ -

ময়মনসিংহে পরিবারতন্ত্রে জিম্মি ময়মনসিংহ বড় মসজিদ-মাদ্রাসা
আরিফ রব্বানী।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মাওলানা আব্দুল হকের আধিপত্যবাদ এবং পরিবারতন্ত্রে জিম্মি হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ ও মাদরাসা। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দিয়ে হামলা, অবরুদ্ধ করে শিক্ষককের উপর আঘাত, জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা, প্রশাসন নিয়ে কটুক্তিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনায় বিব্রত জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দলের রাজনীতিকরা। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন সকলেই।জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ ও মাদরাসার প্রধান মাওলানা আব্দুল হক এর এসব আধিপত্যবাদ এবং পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষকরা জেলা প্রশাসক ও চক বাজার জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেট কমিটির সভাপতির বরাবরে অভিযোগ করলে কমিটির সদস্যরা তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা হিসাবে স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিলে এসব সিদ্ধান্ত আব্দুল হক এর স্বেচ্ছাচারীতা অনিয়মের বিরুদ্ধে হওয়ায় মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলনে নামিয়ে দেন।ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়-গত ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর-২৪ সালে চক বাজার জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেট কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। দায়িত্ব পালন কালে কমিটির যেকোন সিদ্ধান্ত প্রায়শই অমান্য করে প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল হক। কমিটির সিদ্ধান্তকে অমান্য করে তার পক্ষে মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলনে নামিয়ে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে। গত ২৪ সালের ১৯শে নভেম্বর মাদ্রাসার লাঞ্ছিত শিক্ষক আজিজুল হক এর একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়াকফ্ কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজিজুল হকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনকে নিয়োগ করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুল হকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন প্রমাণ না পেয়ে তাকে দায়িত্ব পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিলে মাওলানা আবদুল হক এর পক্ষ থেকে পরে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বরং মাওলানা আজিজুল হককে বহিষ্কার করতে ষড়যন্ত্র করে ছাত্রদের আন্দোলনে নামানো হয়। এসব ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত মাওলানা আব্দুল হক এর জামাতা মুফতি সারোয়ার হুসাইন,আরো দুই মেয়ের জামাতা, এক ছেলে ও এক নাতি। তৎপ্রেক্ষিতে ওয়াকফ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজিজুল হককে পুনর্বহাল ও মেয়ের জামাতা সারোয়ার হুসাইনকে প্রধান শিক্ষক পদসহ কমিটির সকল পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। একই সাথে মাদ্রাসার প্রধান আব্দুল হক সাহেবের আরেক মেয়ের জামাতা মাওলানা তফাজ্জল হোসেন একই সাথে ত্রিশাল ও নিজস্ব মসজিদ পরিচালনা করেন বিদায় বড় মসজিদ মাদ্রাসার খন্ডকালীন শিক্ষকতার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়ে মাদ্রাসার দ্বিতীয় সিনিয়র আলেম মাওলানা রইসুল ইসলামকে নায়েবে মুহতামিম এর দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। এসব সিদ্ধান্ত মিটিং চলাকালে মাওলানা আব্দুল হক সাহেব মেনে নিলেও পরবর্তীতে মিটিং থেকে বেরিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্ররোচনা করে সিদ্ধান্ত মানা হয়নি জানিয়ে আন্দোলনে নামার উৎসাহিত করে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন কার্যক্রম চালায় শিক্ষার্থীরা । এসব বিষয়ে আরো একাধিক বার ওয়াকফ্ কমিটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও কমিটির মিটিং চলাকালে আব্দুল হক সাহেব সব মেনে নিলেও মিটিং থেকে মাদ্রাসা গিয়েই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্ররোচনায় ফেলে আন্দোলনে নামিয়ে নগরীর শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলেন। কমিটির সিদ্ধান্ত মাদ্রাসা বড় হুজুর আব্দুল হক সাহেবের স্বার্থের বাইরে গেলেই কমিটির সভাপতি ডিসির প্রত্যাহারে ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলন করতে উৎসাহিত করা হয় এমন দাবি উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
গত ২৭ অক্টোবর রাতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাদরাসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুইটি পক্ষের বৈঠকের পর হঠাৎ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় মাওলানা আব্দুল হকের অনুসারিদের হামলায় শিক্ষক হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ (৫৫) আহত হন। এ ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বিগত প্রায় এক বছর ধরে চলা জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ ও মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আব্দুল হকের আধিপত্যবাদসহ চলমান সকল ঘটনার বিষয়ে ওয়াকফ্ কমিটির সভায় পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সেই সাথে শান্তি বজায়ে রেখে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন।
কিন্তু বিষয়টি র্স্পশকাতর ধর্মীয় স্থান হওয়ায় এবং ঘটনার সঙ্গে মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জড়িত থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন অনেকেই।
বড় মসজিদের এই আলোচিত ঘটনাটি নিয়ে নগরীর বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা বিব্রত। বারবার চেষ্টা করেও ঘটনার সামাধান করা যাচ্ছে না, এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ আলেমগনের পরামর্শে বড় মসজিদ ও মাদরাসার এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির স্থায়ী সামাধান হবে। -

সুনামগঞ্জ জাদুকা-টা নদীতে পাড়কেটে বালু উত্তোলন করে কৃত্রিম নদী বানাচ্ছে জামাই শশুর
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদীতে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে পাড়কেটে বালু উত্তোলন করে কৃত্রিম নদী বানাচ্ছে জামাই শশুর। ঘটনাটি ঘটছে প্রায় মাস খানেক ধরে? জানা যায় তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পার্শ্ববর্তী ডালারপাড় গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়ার বাড়ির পিছনে যাদুকাটা নদীর তীরে প্রতিনিয়ত রাতের আধাঁরে অবৈধ ভাবে ইজারা বিহীন বনও খনিজ মন্ত্রণালয়ের জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। আর এই চক্রের মুলহুতা জামাই এবং শশুর। তারা হলেন ডালার পাড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইশু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন এবং তার মেয়ের জামাই নয়ন মিয়ার নেতৃত্বে পাড়কেটে ডালারপাড় গ্রামের ভিতর দিয়ে কৃত্রিম নদী বানানে হচ্ছে ? যা এলাকার গ্রামবাসীর বাড়িঘর, রাস্তাঘাট নদীর গর্ভে বিলিনের পথে। শতশত বাড়ি ঘর রয়েছে নদীর স্রুতের মুখে? অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে জামাই শশুর মিলে ডালার পাড় গ্রামকে বানাচ্ছে কৃত্রিম নদী । আর এসব কিছু চলছে তাহিরপুর থানা পুলিশের চোখের সামনে? এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় চার হাজার মানুষের বাড়িঘর। রাত ৩টা থেকে ভোর সকাল ৮ টা পর্যন্ত চলে অবৈধ সেভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। স্থানীয় সাধারণ মানুষেরা এদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। প্রশাসন কেন এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না সেটাই এখন সাধারণ মানুষের মনে এক রহস্যময় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে? নাকি প্রশাসনের লোকেদের যোগসাজশে চলছে এমন কর্মকান্ড? কিছু দিন আগে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ঐ সমস্ত বালু খেকোদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেও থামেনি জামাই শশুর সিন্ডিকেটের বালু লুঠপাটের তরঙ্গ নীলা।
এব্যপারে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল হাসেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডালার পাড়ের বিষয়টি শুনেছি খুঁজনিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা অসহায় নদীর পাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষের। ## -

বিএনপি ক্ষ-মতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান- মোশাররফ
রফিকুল ইসলাম,
দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির আয়োজিত জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত এ জনসভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলে দলে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হন।জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন,
গত ১৫ বছর একটি দল মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করেছে। কিন্তু বিএনপি সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে, বিপদের সময় মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমাদের নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন,
আগামীতে যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ বিএনপি সরকার গঠন করবে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমানের ঘোষণার উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন,দেশের প্রতিটি পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক নারীর নামে একটি ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তিনি সরকারের মাসিক অনুদান পাবেন। পাশাপাশি যারা লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না পাবে, তাদের জন্য এক বছর পর্যন্ত বেকার ভাতা চালু করা হবে।
রাঙ্গাবালীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
বাংলাদেশে একমাত্র যে উপজেলায় এখনো হাসপাতাল নেই, সেটি রাঙ্গাবালী। অথচ ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ এ উপজেলার উন্নয়ন করেনি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাঙ্গাবালীর উন্নয়ন হবে জনগণের দাবি অনুযায়ী।
হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন,বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশে বসবাসকারী সবাই সমান, সবাই বাংলাদেশি। ধর্ম, বর্ণ বা মত নির্বিশেষে সবার অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজি, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হাওলাদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন শিকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাফিজুর রহমান চুন্নু তালুকদার, সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আজাদুল ইসলাম বাবুল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রাকিববুল হাসান মুরাদ, সাবেক সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার, সদস্য আমিনুল ইসলাম মঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান নান্নু, বিএনপি নেতা হাজী আল-মামুন, যুবদল আহ্বায়ক অরুণ মীর ও সদস্য সচিব নিয়াজ আকন প্রমুখ।
জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ মাঠ ও আশপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিল, স্লোগান ও ব্যানারে মুখর হয়ে ওঠে পুরো উপজেলা।
###
-

পটিয়ায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিত-রণ ও জনসংযোগ
মহিউদ্দীন চৌধুরী।। শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের পটিয়া নাহার পার্কে অনুষ্ঠিত বিজনেস প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তা তিন দিনব্যাপী মেলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন চট্টগ্রাম (১২ পটিয়া) আসনের
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া।বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য জাহাঙ্গীর কবির, পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন চৌধুরী, জিল্লুর রহমান, আবু জাফর চৌধুরী, আঙ্গুর মেম্বার, আব্দুল মাবুদ, নাজমুল হোসেন, মোঃ জাবেদ, ইমতিয়াজ, রুবেল আশরাফ উদ্দিন নয়ন প্রমুখ।এছাড়াও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন জাফরুল ইসলাম, ফরিদুল আহমদ, জয়নাল আবেদীন আঙ্গুর, আবু তৈয়ব,
আমির হোসেন সওদাগর, নাজিম উদ্দিন, আব্দুর রহিম, আব্দুল হক ঝুনু, মোঃ জিয়া, মোঃ ইব্রাহীম মির্জা, মোঃ কামাল ও মোঃ শহিদসহ পটিয়া উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামত কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দেশ ও গণতন্ত্র নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।
-

প্রেসক্লাব পীরগঞ্জের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন গোলাম রব্বানী সভাপতি, মানিক সম্পাদক
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ গোলাম রব্বানী (দৈনিক নওরোজ) কে সভাপতি ও এস আর মানিক (দৈনিক বাংলাদেশের খবর/দৈনিক গণমুক্তি) কে সাধারণ সম্পাদক করে প্রেসক্লাব পীরগঞ্জের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির শহীদ আবু ইসাহাক সড়কের নিজস্ব কার্যালয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আবু সালেহ মোহাম্মদ সিহাব (শেয়ার বীচ), যুগ্ম সম্পাদক- কায়সার রেজা লাবণ্য (দৈনিক অপরাধ কন্ঠ), সাকিব আহসান (দৈনিক সকালের শিরোনাম), কোষাধ্যক্ষ- মোঃ আসাদুজ্জামান (দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার), দপ্তর সম্পাদক- মোহাজারুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও সংবাদ), সাংগঠনিক সম্পাদক- সাইদুর রহমান (দৈনিক চাঁদনি বাজার), মনবাধিকার ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- নাহিদ পারভিন রিপা (মুক্ত ভাষা), নির্বাহী সদস্য- রফিকুল ইসলাম (বাংলা বায়ান্নো), আসাদ (মায়া বাজার), রিপন আলী (দৈনিক ঘোষণা), হৃদয় ইসলাম (ঢাকা নিউজ এক্সপ্রেস), রফিকুল ইসলাম একুশ (প্রিমিয়াম নিউজ টোয়েন্টিফোর), আমজাদ হোসেন লিটন (প্রান্তিক খবর)। নবগঠিত কমিটিকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Hide quoted text
———- Forwarded message ———
From: Tamim Ahmed Badal
Date: Sat, 1 Nov 2025, 8:51 pm
Subject:
To:, sr.manikrepoter76 , Faidul Reporter , abutarekpt , bishnureporter , m01738539087 , , nkrana10 , , bulbulreporterjug , , milonreporter78 , , jainal babul , kaysarreza , [email protected] প্রেসক্লাব পীরগঞ্জের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
গোলাম রব্বানী সভাপতি, মানিক সম্পাদকপীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ গোলাম রব্বানী (দৈনিক নওরোজ) কে সভাপতি ও এস আর মানিক (দৈনিক বাংলাদেশের খবর/দৈনিক গণমুক্তি) কে সাধারণ সম্পাদক করে প্রেসক্লাব পীরগঞ্জের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির শহীদ আবু ইসাহাক সড়কের নিজস্ব কার্যালয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আবু সালেহ মোহাম্মদ সিহাব (শেয়ার বীচ), যুগ্ম সম্পাদক- কায়সার রেজা লাবণ্য (দৈনিক অপরাধ কন্ঠ), সাকিব আহসান (দৈনিক সকালের শিরোনাম), কোষাধ্যক্ষ- মোঃ আসাদুজ্জামান (দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার), দপ্তর সম্পাদক- মোহাজারুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও সংবাদ), সাংগঠনিক সম্পাদক- সাইদুর রহমান (দৈনিক চাঁদনি বাজার), মনবাধিকার ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- নাহিদ পারভিন রিপা (মুক্ত ভাষা), নির্বাহী সদস্য- রফিকুল ইসলাম (বাংলা বায়ান্নো), আসাদ (মায়া বাজার), রিপন আলী (দৈনিক ঘোষণা), হৃদয় ইসলাম (ঢাকা নিউজ এক্সপ্রেস), রফিকুল ইসলাম একুশ (প্রিমিয়াম নিউজ টোয়েন্টিফোর), আমজাদ হোসেন লিটন (প্রান্তিক খবর)। নবগঠিত কমিটিকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
-

গৌরনদীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন কা-মরুল ইসলাম সজল
মাসুদ সরদার।।
দলের মধ্যে বিভেদ থাকলে ধানের শীষের বিজয় অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। তিনি বলেন, সকল বিরোধ ভুলে একযোগে কাজ করলে ধানের শীষকে বিজয়ী করা সম্ভব।শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূল নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হলে দলের মধ্যে কোনো বিভেদ রাখা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বা দখলবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমার কোনো কর্মীর বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ নেই। তারেক রহমান সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজদের পছন্দ করেন না। যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিগত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আসা গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি যদি মনোনয়ন পাই এবং জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তবে আমার দ্বারা কারো কোনোদিন ক্ষতি হবে না। হিন্দু সম্প্রদায়সহ কোনো ধর্মের মানুষকেই আর পালিয়ে থাকতে হবে না। কাউকে চাঁদা দিতে বা সম্পত্তি হারানোর ভয় থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম ও রাজনীতি দুটি আলাদা বিষয়। ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাস, আর রাজনীতি রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পর্কিত বিষয়। কেউ যেন ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মোর্শেদ মাসুদ, গৌরনদী উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মো. জব্বার হোসেন খানসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রচারণার মাঝে আজ শনিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তাদের পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়। পরে গাজী কামরুল ইসলাম সজল আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
-

সোনালী দিন লিখেছেন অবঃ সার্জেন্ট মাহবুব আলম
“সোনালী দিন”
অবঃ সার্জেন্ট মাহবুব আলম,
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট।মনে পড়ে সেই নবান্নের উৎসবের গান,
অগ্রহায়ণে মাঠ ভরা ছিল পাকা ধান।
কৃষকের বুকে ছিল কতো সুখের ছন্দ,
মাঠে মাঠে ছিল কত ধান কাটার আনন্দ।ধানের বোঝা মাথায় করে জমাতো খলাঘাটে,
নৌকায় ভরে বাড়ি নিতেই সারাবেলা কাটে।
উঠোন ভরে উঁচু করে দিয়ে ধানের মাড়া,
গরু চড়ায়ে মাড়ার উপর ধান লওয়া সারা।খড়কুটো জড়ো করে দিত খড়ের পাড়া,
কত গৃহিণীর রান্না হতো দিয়ে ক্ষেতের নাড়া।
অগ্রহায়ণে হয়না তেমন নবান্নের জয় গান,
উঁচু নীচু সব জমিতে আজ চাষ হয় ইরিধান।আজকাল হয়না জমা খলাঘাটে ধানেরকাড়ি,
পাকা ব্রিজ নির্মাণে খালে সরাসরি যায় বাড়ি।
কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে হইতো কতো বান,
মাসব্যাপী পড়ে থাকতো খলাঘাটে মেরালী-
পাঞ্চায়াতের ধান।বার্তা প্রেরক – তরিকুল ইসলাম তরুন কুমিল্লা ।।
-

মহেশপুরে কালবেলা প্রতিনিধিকে হা-রামজাদা বললেন – আনসার কর্মকর্তা
শহিদুল ইসলাম,
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধিকে হারামজাদা বলে গালি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের বিরুদ্ধে।তিনি মোবাইল ফোনে বলেন হারামজাদা সাংবাদিক এখনো আছে না চলে গেছে, আপনি কি হারামজাদা সাংবাদিকের সামনে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলছেন। মোবাইলের অপরপ্রান্ত থেকে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের সাথে এমন ভাষায় কথা গুলো বলছিলেন মহেশপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ভিডিপি সদস্যেকে দেওয়া পাকা ঘর তৈরিতে রঙ্গিং টিনের পরিবর্তে নিন্মমানের সাদা টিনে রঙ্গিং রং করা হচ্ছে এমনি তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালবেলার মহেশপুর উপজেলা প্রতিনিধি শামীম খান জনী। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন। গনমাধ্যম কর্মীকে দেখেই তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। কোন কিছু জানতে চাওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচারণ করেন এবং দ্রত সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষন পর ঘর বরাদ্ধ পাওয়া সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনকে ফোন করেন। এবং ফোনে তিনি রেবেকা খাতুনকে বলেন, হারামজাদা সাংবাদিক এখনো আছে না চলে গেছে, আপনি কি হারামজাদা সাংবাদিকের সামনে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলছেন।
এমনি একাধিক বার হারামজাদা বলে সাংবাদিককে গালি দিতে শোনা যায়। যা একজন সরকারী কর্মকর্তার মুখ থেকে কেউ আশা করে না।কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি শামীম খান জনী, সংবাদ সংগ্রহ করাই সাংবাদিকদের কাজ,আর সঠিক তথ্যে দিয়ে সহযোগিতা করা একজন সরকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব। কিন্তু আনসার কর্মকর্তা খুশি খাতুর তার উল্টো, তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেই কোন এক অপশক্তির বলে সেই সাংবাদিককে হয়রানির স্বীকার হতে হয়। তিনি আরও বলেন ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে কালবেলাসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রত্রিকায় ঘুষ চাওয়াসহ অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। পুর্বের এসব জেরে আমাকে তিনি গালি গালাজ করাসহ অশোভন আচারণ করেছে।
এঘটনায় সাংবাদিক সমাজ আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ দৃষ্টাস্ত মুলক শাস্তি ও দ্রত বদলি করার দাবি জানাচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ গত ২২ সেপ্টম্বরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যেকে দেওয়া পাকা ঘর তৈরিতে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করার ফলে নতুন ঘরে ওঠার আগেই দুশ্চিন্তার ভাজ পরেছে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের কপালে। এই শিরোনামে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়।
পরে নিন্মমানের জালানা পরিবর্তন করলেও ইস্টিমেটে রঙ্গিং টিনের জায়গায় নিন্ম মানের সাদা টিন পরিবর্তন না করে, সেই টিনে রং করে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইলে সাংবাদিককে গালমন্দ করার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,উনি কিশের সাংবাদিক আমাকে তো তার আইডি কার্ড দেখাতে পারে নাই।