May 19, 2025, 2:13 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সাংবাদিক কেন সংবাদ সংগ্রহ করে তা প্রকা-শ করেন না,সংবাদপত্র চল-বে কি করে? বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে ব্যবসা দ-খল, চাঁ-দাবা-জি ও ফি-টিংবা-জিসহ বিভিন্ন অ-পরাধমূলক কর্ম-কাণ্ড নড়াইলে খাজা হ-ত্যা ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মা-মলা বেগমগঞ্জে র‍্যাবের অভি-যানে ৯১৫ পিস ইয়া-বাসহ মা-দক কার-বারি গ্রেফতার শিক্ষা বোর্ডের আ-দেশ পা-ত্তা দিচ্ছেন না মাদ্রাসা সুপার জয়পুরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের অ-পসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষো-ভ মিছিল সেনবাগে ইভটি-জিংয়ের শি-কার মাদ্রাসা ছাত্রীর পড়াশুনা ব-ন্ধ, থানায় অভি-যোগ দায়ের জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে-ডিসি মুফিদুল আলম মহেশপুর সীমান্তে যৌ-ন উ-ত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার ও অ-বৈধ অ-নুপ্রবেশকারী আ-টক সড়ক ছাড়াই অর্ধকোটি টাকার সেতু নির্মাণ: তেঁতুলিয়ায় দু-দকের অ-ভিযান
সুন্দরবনে অভয়ারণ্যে নিষেধাজ্ঞার মাঝেই বি-ষ প্রয়োগে মাছ শি-কার জীববৈচিত্র্য হু-মকির মুখে

সুন্দরবনে অভয়ারণ্যে নিষেধাজ্ঞার মাঝেই বি-ষ প্রয়োগে মাছ শি-কার জীববৈচিত্র্য হু-মকির মুখে

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে:বিশ্বের ঐতিহ্যবৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের মৎস্যভাণ্ডার নামে খ্যাত বিভিন্ন নদী ও খালে পরিবেশ বিধ্বংসী নিষেধাজ্ঞার মাঝেই বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার চলছেই। এতে বনের গহিনে থাকা অভয়ারণ্যে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও মাছের পোনা প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। ফলে বনের জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। এতে বনের মৎস্য সম্পদ ও জলজসহ বিভিন্ন প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির অসাধু বনরক্ষীদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে জেলেরা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছেন। অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির অসাদু বনরক্ষীদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে জেলেরা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছেন। এজন্য ট্রলার প্রতি ১০ হাজার এবং নৌকা প্রতি ৫ হাজার টাকা গুনতে হয় তাদের।
বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তারা অভয়ারণ্যের খালে বিষ দিয়ে অল্প সময়ে অধিক মাছ শিকার করে থাকেন। এছাড়া জেলেদের শিকার করা মাছ নিরাপদে লোকালয়ে পৌঁছাতেও টাকা দিতে হয় স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। মাঝেমধ্যে ২/১ জন ধরা পড়লেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় অপরাধচক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সুন্দবনের ৩১ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে জলাভূমি। বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের বৃহৎ অংশ জুড়ে রয়েছে মৎস্যসম্পদ। জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে ৪৫০টি নদনদী। এই নদনদীতে রয়েছে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ। এর মধ্যে রয়েছে ২৬ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৩ প্রজাতির কাঁকড়াসহ অসংখ্য জলজ প্রাণী।আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বনবিভাগের কিছু অসাদু বনরক্ষী ও কর্মকর্তা উৎকোচের বিনিময়ে এসব দেখেও না দেখার ভান করেন। ফসলের পোকা দমনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক দিয়ে এসব মাছ শিকার করা হয়। এর মধ্যে ডায়মগ্রো, ফাইটার, রিপকর্ড এবং পেসিকল নামক কীটনাশকই বেশি ব্যবহার করেন জেলেরা।

সরকার প্রতি বছর এই মৎস্যসম্পদ থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে থাকেন। কিন্তু কিছু অসাধু জেলে কম পরিশ্রমে অধিক মুনাফার আশায় বৈধভাবে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বনের অভ্যন্তরে প্রতিটি খালে ও নদীতে পরিবেশ বিধ্বংসী বিষ প্রয়োগে করে মাছ শিকার করছে। এমনকি মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত নিষিদ্ধ খালেও। অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক চুক্তিতে এ কাজে সহযোগিতা করছেন বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী।সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা করা হয়। এ সময় বনের নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া ধরার পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এই বন্ধ মৌসুমে সুন্দরবনে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গেল তিনমাসে ১১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় ১২৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জ অবৈধ প্রবেশের দায়ে ২৭ টি পিওআর মামলা, ৩৪টি ইউডিওআর মামলা ও ০১টি সিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় ২৩ জন আসামিকে আটক করা হয়। এছাড়া একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার, ৬৩টি নৌকা, ৪টি মোটরসাইকেল, ১৬ কেজি হরিণের মাংস, ৬৩৯ কেজি চিংড়ি / সাদা মাছ, ৩৫ কেজি শুঁটকি চিংড়ি ১৯০ কেজি, কাঁকড়া, ৬০০টি হরিণ ধরা ফাঁদ ও ১৪টি বিষের বোতল জব্দ করা হয়েছিল।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে গত তিনমাসে ৮টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, ১৩০টি নৌকা এবং অবৈধ কাঁকড়া পরিবহনকালে একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ১০১ জনকে আটক করা হয়েছে। ৭টি পিওআর মামলা, ৩১ টি ইউডিওআর মামলা এবং ১৬ টি সিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধ্য ভাটার সময় খালের একপাশে জাল পেতে অন্যপাশে বিষ দেওয়া হয়। বিষক্রিয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যে মাছগুলো ছটফট করতে করতে দুর্বল হয়ে ভাসতে ভাসতে জালে এসে আটকা পড়ে। এ কাজে সাধারণত রিপকট, ক্যারাটে, হিলডন, ওস্তাদ ও বিষ পাউডারসহ বিভিন্ন বিষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) . ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষমিশ্রিত মাছ খেলে সাধারণত মানুষের কিডনি, হার্ট ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে একসময়ে কিডনি ও লিভার নষ্ট হয়ে যায়। বিষমিশ্রিত পানি খেলে বিভিন্ন প্রাণীরও একই সমস্যা হতে পারে। তবে প্রাণীর ক্ষেত্রে দ্রুত প্রভাব পড়ে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার জানান, যে খালে বা জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ করা হয়, সে খালে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কোনো মাছ প্রবেশ করতে পারে না। আর এভাবে চলতে থাকলে এক সময় ঐ সব খালে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হয়। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপন চন্দ্র দাস বলেন, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি জেলের জাল ও নৌকা জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো জেলেকে আটক করা যায়নি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, বিষ প্রয়োগ করলে ছোট-বড় সব প্রজাতির মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাছের পোনা মারা যায়। এছাড়া বিষমিশ্রিত পানি ভাটার টানে যখন গভীর সমুদ্রের দিকে যায়, তখন সেই এলাকার জলজ প্রাণীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া আশপাশের মাটিতে মিশে বিষের প্রভাব দীর্ঘ সময় থাকে। ফলে জলজ প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিন দিন জলজ প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখি ও বড় যে প্রাণী আছে যারা এসব মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে মাছ, পাখি এবং মাছের উপর নির্ভরশীল অন্যান্য প্রাণীদের জীবন চক্রের পরিবর্তন আসছে। এ ব্যাপারে কথা হয় সাতক্ষীরা সহকারী বোন সংরক্ষক মশিউর রহমানের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় বিশেষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার চলছে এটা স

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD