April 22, 2025, 6:49 am
তৈয়ব আলী পর্বত।।
খুলনা প্রতিনিধি
নাহিদা আক্তার লাকি মিথ্যা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের নিকট হইতে আত্মসাৎ করায় প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী মো: আলমগীর হোসেন (২৫ মার্চ মঙ্গলবার) রাত ৮ টায় শের-এ বাংলা রোড খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, প্রতারণা শিকার মো: আলমগীর হোসেন, পিতা: মৃত আব্দুস শুকুর গাজী, ঠিকানা: ৪/১, করিমাবাদ কলোনী, ফরাজীপাড়া রোড, খুলনা সদর, খুলনা। মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক প্রতারক নাহিদা আক্তার লাকি, পিতা: খায়রুল বাশার বাবলু, সাং- বৈকালী বড় বয়রা, ফকিরবাড়ী, ডাকঘর: জিপিও-৯০০০, খালিশপুর, খুলনা তাহার পূর্ব পরিচিত। সেই মর্মে তাহার দুই বন্ধু মোঃ জাহিদুল ইসলাম সোহেল এবং মো: লাভলু শেখ দ্বয় ব্যবসায়িক সমস্যায় পড়ে। তাদের নিকট থেকে নিতাই নামের এক জন প্রতারক তাহার বন্ধুদের নিকট থেকে মালামাল ক্রয় করে বাকিতে। পরবর্তীতে সে টাকা পরিশোধ করে নাই। যেহেতু টাকা পরিশোধ করে নাই সে মর্মে উক্ত নিতাই তাহার দুই বন্ধুর নিকট কয়েকটি চেক এবং অঙ্গীকার নামা প্রদান করে। উক্ত টাকার আদায়ের বিষয়ে তিনি তাহার পরিচিত নাহিদা আক্তার লাকির সহিত এ বিষয় নিয়ে আলাপ করি সে একজন মহিলা সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী তার পরিচয় দিয়ে সে নিতাই এর নিকট হতে তাহার বন্ধুদের পাওনা টাকা তুলিয়া আনিয়া তাহাদের দিবে বলে জানায়। নিতাইয়ের নিকট থেকে টাকা উদ্ধার কালে তাহার বন্ধুরদের নিকট নিতাইয়ের দেওয়া চেক এবং অঙ্গীকারনামা দিয়া ছিল তাহা নাহিদা আক্তার লাকি নিয়ে যায়। তাহাদের পাওনা টাকার ডকুমেন্ট নিতাইয়ের দেওয়া চেক ও অঙ্গীকারনামা টাকা উদ্ধার কালে নিয়েছিল। পরবর্তীতে নাহিদা আক্তার লাকির কাছে চেক এবং ডকুমেন্টস চাইলে ফেরত দেবার কথা থাকলেও উক্ত টাকা পাওনা প্রমাণাদির কাগজপত্র ফেরত দেয় না। পরবর্তীতে তারা খোঁজখবর নিয়ে তিনি ভুয়া সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী। উক্ত কাগজপত্র ফেরত চাইলে আজ দিব কাল দিব বলিয়া বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে এবং ফেরত দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেয়। এভাবে বেশ কিছুদিন গত হয়ে যাওয়ার পরে পরবর্তীতে আমরাকাগজপত্রের প্রমাণাদি চাইতে গেলে সে তাহাদের বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার কর্মীর প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তিনি একজন নারী প্রতারক, মিথ্যা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। ভুক্তভোগী মোঃ আলমগীর হোসেন আরো জানান ভুয়া সাংবাদিকতার কার্ড করে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে অধিক পরিমাণের টাকা নিয়েছে। যেমন সত্যের সন্ধানে কার্ড নং ৫০১৭ ও বিবিসি নিউজ২৪ খুলনা জেলার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই দুটি প্রতিষ্ঠানই ভুয়া। ঢাকার সোহেল নামে একজনকে তার বস বানিয়ে এই কার্ডগুলো বিতরণ করেন এবং বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেন। কিছুদিন আগে নাহিদা আক্তার লাকি এল কে সমাজ কল্যাণ যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে রূপসা বালির মাঠে মেলা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে মো: আলমগীর হোসেনের নিকট হইতে এক লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু মেলা পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। ভুক্তভোগী বিষয়টির সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করার মাধ্যমে কঠোর বিচারের দাবি জানান।
তবে নাহিদা আক্তার লাকির সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন। মেলা পাইয়া দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং উল্টো ৫০ হাজার টাকা আলমগীর হোসেন ও তার সহযোগীরা তার কাছ থেকে গ্রহণ করেন বলে তিনি জানান।