October 9, 2024, 12:17 pm
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের কোনো বিকল্প নাই।তানোর বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ধীরে ধীরে অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব হয়ে উঠেছেন।
জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদকএবং সাবেক মেয়র, তরুণ-মেধাবী নেতৃত্ব ও তরুণদের আইডল মিজানুর রহমান মিজান। গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন
সফল নেতৃত্ব, দল ও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন
নিবেদিতপ্রাণ, সেরা সংগঠক, কর্মী-জনবান্ধব, আদর্শিক, পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক হিসেবে ধীরে ধীরে
গণমানুষের আস্থার প্রতিক ও নেতায় পরিণত হয়ে উঠছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই তরুণ ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তানোরের মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানোর বিএনপির অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত এমরান আলী মোল্লার পরবর্তী নেতৃত্ব হিসেবে তৃণমূলে মিজান আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন।
প্রয়াত এমরান আলী মোল্লার অবর্তমানে যদি কেউ নেতৃত্ব দিয়ে
বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেটা মিজান ব্যতিত আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
জানা গেছে, প্রয়াত এমরান আলীর মোল্লার দিকনির্দেশনা ও তার ছায়ায় থেকে তার হাতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠা রাজনৈতিক নেতা মিজানও তার নেতৃত্বের গুনে সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেশের
প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে তিনি কখানো গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতা ও কমী-সমথর্কদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার
সংগ্রাম। তিনি বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ সহযোগী কোনো সংগঠনকেই অর্থ নয় মেধার কাছে
জিম্মি রাখতে চান
মিজানুর রহমান মিজান প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সামনের সারিতে থেকেছেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন নেতৃত্ব। মিজান বিএনপির একজন আদর্শিক নেতৃত্ব। মিজানকে বিভিন্ন প্রলোভন, লোভ-লালসা ও ভয়ভীতি দেখিয়েও আওয়ামী লীগ তাকে তাদের দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। যে কারণে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপি করার কারণে মিজানের বিরুদ্ধে ২৭টি রাজনৈতিক মামলা হয়। যার মধ্যে এখানো ১৩টি মামলা চলমান রয়েছে।এছাড়াও তার একাধিক পুকুর দখল ও ডিস ব্যবসার ক্ষতি করা হয়েছে।কিন্ত্ত এতো কিছুর পরেও মিজানকে দমানো যায়নি। আওয়ামী লীগের ১৫ বছর বলতে গেলে মিজান একাই তানোরে বিএনপির বিভিন্ন দলীয় কর্মসুচি পালন করে গেছেন। অথচ এখন একশ্রেণীর নেতা যারা নিজেদের হেভিওয়েট দাবি করছে,গত ১৫ বছর বলতে গেলে একদিনের জন্যও তাদের মাঠে দেখা যায়নি।
মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এখানো তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার তেমন কোনো জায়গা নেই। সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না।
আমি এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছি এখনও আছি আমি এসব মানুষদের নিয়েই ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। মিজান দলের একজন আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা,পৌরসভা, ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ- দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। তার মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই বিএনপির প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরসাও তারাই। কিন্ত্ত তাদের
সংগঠিত করার মত নেতৃত্বের এতোদিন যে অভাব ছিল এখন তিনি সেটা দুর করতে চান।
জানা যায়, মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন মিজান। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রদলের
রাজনীতিতে যুক্ত হন। রাজনীতিতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি নাম মিজান তিনি সব সময় সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয় থেকেছেন।
ইতমধ্যে মিজান তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বিএনপি,কৃষক দল, যুবদল-ছাত্রদলসহ সহযোগী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছেই মিজান সমানভাবে জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মনে করেন
ও তাদের যে কোন সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়।কিন্ত্ত
মিজান মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শোনেন। মিজান বলেন, তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন এখনও
আছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি এখনো দিয়ে যাচ্ছি, তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই দলের প্রাণ তারা কোনো লোভ-লালসায় দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী করে না। #