October 15, 2024, 12:18 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে ড্রাগন বাগানে শিয়াল মারার ফাঁদে   বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে ১ কৃষকের মৃত্যু সুজানগরে বজ্রপাতে নিহতের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান রংপুরে বিএসটিআই’র উদ্যোগে পালিত হয়েছে বিশ্ব মান দিবস শ্লোগানে পালিত হল বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০২৪ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেতাগী প্রেসক্লাবের ভবন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন যশোরের বাগআঁচড়ায় বিএনপি’র সহযোগিতায় ভি,ডব্লিউবির চাল পেলো ৩০৮ পরিবার নড়াইলে বর্ষা মৌশুমে কয়েক দফা ভারী বর্ষনে মৎস্য ও কৃষি খাতে ক্ষতি শত কোটি টাকা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জের জেলার মামুনুর রশিদ যেন ঝিনাইদহের জমিদার পুঠিয়ায় ফেস বুকে পোষ্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৩
সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটে বৃষ্টিতে আমন বীজতলা নষ্ট, বিপাকে কৃষকরা

সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটে বৃষ্টিতে আমন বীজতলা নষ্ট, বিপাকে কৃষকরা

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির. বিশেষ প্রতিনিধি:বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় বাগেরহাটের ৯ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে জেলার ৯ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। ভেসে যায় শত শত পুকুর-মৎস্য খামার। অবিরাম বৃষ্টিতে ফসলি জমি, বীজতলা, পানবরজসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাশনের পর দৃশ্যমান হতে থাকে ক্ষতির পরিমাণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমনের বীজতলা। বীজতলা পচে ও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে দেখা দিয়েছে বীজ সংকট। বীজধান না পেলে অধিকাংশ জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চাষীরা। বাগেরহাটে বিভিন্ন উপজেলার এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, গেল আষাঢ় থেকে ২/৩ দফা বীজতলা করেও ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার কারণে ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে থাকার কারণে বাঁচাতে পারেনি বীজতলা। বেশীর ভাগই পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। সবশেষে শ্রাবণের শেষের দিকে বীজ তলা করেও তা গত কয়েকদিন টানা বর্ষণ ও অতি জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তাও বাঁচানো যাবে কিনা শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। এ দিকে আমন বীজতলা করার আর এখন সময়ও তেমন নেই এবং কৃষকের কাছে বীজতলা করার মত কোন বীজধানও নেই। এ কারণে এ বছর আমন বীজের (চাড়া) ভিষণ সংকট দেখা দিবে বলে মনে করেন অনেক কৃষক। এ সংকট মোকাবেলায় উচ্চ/চড়া দামে বীজ (ধানের চাড়া) কিনতে হবে কৃষককে। কিন্তু বীজ (ধানের চারা) কৃষক ফসল ফলিয়ে তেমন লাভবান হবেনা বলে মনে করেন কৃষকরা। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, মোরেলগঞ্জ মোট ২৩ হাজার ৩৯৩ জন চাষীর মাধ্যমে এবার ৬০ হাজার ৪৩৯ হেক্টর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বিআর-১১, বিআর-৫২ ও বিআর-২২ জাতের ধান চাষের জন্য ৩ হাজার ৩৫২ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে সব বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু মোরেলগঞ্জ নয়, রামপাল, মোংলা, ও শরণখোলায় অধিকাংশ এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বীজ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি সহায়তা দাবি করেন এসব এলাকার কৃষক।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, শরণখোলায় মোট ১১ হাজার ২৯০ জন চাষীর মাধ্যমে এবার ৯ হাজার ৪৩৯ হেক্টর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বিআর-১১, বিআর-৫২ ও বিআর-২২ জাতের ধান চাষের জন্য ৭৩০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে সব বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু শরণখোলা নয়, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জেরও অধিকাংশ এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বীজ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি সহায়তা দাবি করেন এসব এলাকার কৃষক।

শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম রাজৈর গ্রামের চাষী মো. সাইয়েদ আলী জানান, তার ১০ কাঠা জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য ডিলারের কাছে বীজধান কিনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ডিলারের কাছে বীজধান পাইনি।

সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী গ্রামের আলম নামের এক কৃষক জানান, সম্প্রতি বৃষ্টির ফলে ২০ কেজি ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে থাকায় পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এবার আর আমন চাষ করা সম্ভব নয়। নতুন ধান চাষাবাদের জন্য অনেক জায়গায় যোগাযোগ করেও বীজ সংগ্রহ করতে পারিনি।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ফুলহাতা গ্রামের কৃষক মোস্তফা শেখ বলেন, ছয় বিঘা জমির বীজতলা সবই নষ্ট হয়ে গেছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার ভাই ভাই স্টোরের স্বত্বাধিকারী বীজধানের ডিলার সুখদেব হালদার বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টিতে বীজধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাছে অনেক কৃষক এসেছেন। কিন্তু আমরা কাউকে বীজ দিতে পারছি না।

সরকারি বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসির (বীজ) বাগেরহাট কার্যালয়ের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী ৬০ টন বীজ বরাদ্দ ছিল। আমরা ৬০ টনেরও কিছু বেশি বীজ এ মৌসুমে কৃষকদের সরবরাহ করেছি। কিন্তু এখন নতুন করে আর বরাদ্দের সুযোগ নেই।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শঙকর কুমার মজুমদারবলেন, ২৭জুলাই-৬আগস্ট পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে জেলায় ২ হাজার ৫৮৮ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ##** ছবি সংযুক্ত আছে ** ## **

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD