September 17, 2024, 2:39 pm
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুরের উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ডলুরা গ্রামে দৃর্বত্তদের হামলায় অসহায় মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। জানাযায় গত ৫ আগষ্ট রাতে ঘুমের ঘরে দফায় দফায় ৫ টি পরিবারের উপর পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়। এবং ঐ সমস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রানে হত্যার পরিকল্পনা করে ঐ সমস্ত হামলা কারীরা। বাড়িতে যখন হামলা হয় তখন পিছনের দরজায় দিয়ে জঙ্গলের ডুবায় গিয়ে ঐ সমস্ত পরিবারের নারী পুরুষেররা প্রাণে রক্ষা পান। জানা যায় হামলাকারীরা সর্ব প্রথমে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম ফুল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালানো হয় এসময় ফুল মিয়ার ঘরে ভিতরে তার স্ত্রী ও ৪বছর বয়সী শিশু আরিয়ান ছিল। হামলার শব্দ শুনে কোন রকম পিছনের দরজা দিয়ে বাড়ির পাশের জঙ্গলে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন তারা। ঘরে চার পাশের টিনের বেরা দাঁড়ালো অশ্র দিয়ে কুপিয়ে ঘরের ভিতরে থাকা সকল আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণ অলংঙ্কার ছিনতাই করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে পাশের বাড়ি কৃষক শফিউল্লাহর ঘরে হামলা চালানো হয় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে ছিন্নভিন্ন করে ঘরের ভিতরে থাকা সকল জিনিসপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় হামলা কারীরা এবং চকেস ও আলমারিতে থাকা নগদ ৫লক্ষ টাকা এবং সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার দুইটি গরু ৩০টি রাজা হাস দুটি রাম ছাগলসহ ১২টি মোরগ ১টি ফ্রিজ ১টি টিভিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায় । শফিউল্লাহর পরিবারের সবাই বাড়ির পিছনের জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে সারারাত জীবন বাঁচান। হামলাকারীরা এতে শান্ত হয়নি পরে পশু চিকিৎসক মোঃ দুলাল মিয়া ও তার ভাই ব্যবসায়ী আলাল মিয়ার বিল্ডিং বাড়িতে হামলা চালানো হয়? প্রথমে দুই ভাইয়ের দুটি মটর সাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং বিল্ডিং ঘরের ভিতরে দরজা ভেঙ্গে ঢুকে সকল আসবাবপত্র ফ্রিজ ভাঙচুর করে ছিন্নভিন্ন করে দেয় । এসময় ঘরে থাকা দুলাল মিয়ার জমানো নগদ দুই লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা এবং দুলাল মিয়ার স্ত্রীর চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। পরে আলাল মিয়ার ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে সকল জিনিসপত্র ভেঙ্গে কেবিনেট ভেঙ্গে চুরমার করে বালু পাথর ব্যবসার পুঁজি নগদ ছয় লক্ষ টাকা এবং তার স্ত্রীর আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যার । পাশাপাশি আলাল মিয়ার ৩ বছর বয়সী শিশু সন্তান জুবায়েলকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে ঐ সমস্ত উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা। তা ছাড়া একজন অসুস্থ কিডনি রোগে আক্রান্ত জাকির হোসেনের ঘর টি চুরমার করে দেয় ঐ হয়। ঐ সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস যেন কেঁদে উঠছে? কি দোষ করেছিল এ সমস্ত অসহায় মানুষগুলো? সরকার পতনের আন্দোলনকে পুঁজি করে পরিকল্পিত ভাবে লুঠপাট করাই ছিল ঐ সমস্ত হামলাকারীদের মুল উদ্দেশ্য। জানা যায় একই ইউনিয়নের বাসিন্দা কিছু বিএনপি ও জামায়াতের ছিন্নিত নেতারা প্রায় শতাধিক লোকজন সাথে নিয়ে প্রত্যাকের হাতে দেশিও দাঁড়ালো অশ্র রামদা,দা, লোহার পাইপ লাঠি সোটা নিয়ে এই হামলা চালায় এবং ভাংচুর ও লুটপাট করে। কিছুদিন পুলিশ না থাকায় এখন পর্যন্ত অসহায় জীবন যাপন করছেন ঐ সমস্ত পরিবারের লোকজন গুলি । বর্তমানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন । ঐ সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িতে গিয়ে এসব মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এমনটি প্রত্যাশা করেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা।