September 17, 2024, 2:54 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সংস্কার শেষে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাভারে বহুল আলোচিত শিক্ষার্থী রোহান হত্যা মামলা ৩ বছর পর সিআইডিতে হস্তান্তর যশোরের ঝিকরগাছায় সড়ক দু*র্ঘটনায় যুবক নিহ*ত খাগড়াছড়িতে ছাত্র জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে ঘের বিরোধে একই পরিবারের গৃহিনীসহ ৩ জনকে পি*টিয়ে জ*খম উজিরপুর আলহাজ্ব বিএন খান ডিগ্রী কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) পালিত সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার মাছ নওগাঁয় ১শত ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ তেঁতুলিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন দিলো জনতা তানোর পৌরসভায় পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া
সুন্দরবনের উপকূলীয় বঙ্গোপসাগর উত্তাল, খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা

সুন্দরবনের উপকূলীয় বঙ্গোপসাগর উত্তাল, খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতিনিধি: :বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জীবন ও জীবিকা মাছের ওপর নির্ভর করেই চলে। একদিকে নিষেধাজ্ঞা আর অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপ সাগর থেকে ফিরে আসতে হয়েছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার জেলেদের। ফলে ক্রমাগত লোকসানে পড়ে এখন দিশেহারা জেলে ও মহাজনরা। এতে ভালো নেই উপকূলের জেলে মৎস্যজীবীরা। এরই মধ্যে শুক্রবার (৯ আগস্ট) ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি রেখেছে আবহাওয়া বিভাগ।

শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে এখন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে শতাধিক ফিশিংবোট চারদিন ধরে রায়েন্দা, মোরেলগঞ্জের কুমারখালী, মহিপুর, খেপুপাড়া, নিদ্রাসখিনা ও পাথরঘাটাসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম দফায় ২৩ জুলাই মধ্যরাতে তাদের ফিশিংবোট বহর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়ে। ফিরে আসতে বাধ্য হয় শতাধিক জেলে। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আবার সাগরে গিয়ে জাল ফেলতেই সাগরের অবস্থা আকস্মিক খারাপ হয়ে যায়। প্রবল ঢেউ ও ঝোড়ো বাতাসে টিকতে না পেরে বুধবার (৮ আগস্ট) থেকে উপকূলে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে ফিশিংবোট বহর। ফলে ক্রমাগত লোকসানে পড়ে এখন দিশেহারা জেলে ও ফিশিংবোট মালিকরা।

শরণখোলা রাজৈর মৎস্যঘাটের আড়তদার কবীর হোসেন বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় ফিশিংবোট বহর সাগরে না গিয়ে তিনদিন ধরে রায়েন্দা মৎস্যঘাটে নোঙর করে আছে।

পাড়েরহাট মৎস্যবন্দরের আড়তদার আনোয়ার হোসেন বলেন, জেলে মৎস্যজীবীরা এখন ভালো নেই। একদিকে সরকারের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, অপরদিকে সাগরে গিয়ে বারবার দুর্যোগের কবলে পড়ে মাছ ধরা বন্ধ রেখে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে হচ্ছে।

মোরেলগঞ্জের কুমারখালী এলাকার জেলে সাইফুল ইসলাম শেখ ও আব্দুল জলিল খান বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরে সাগরে যাওয়ার প্রস্ততি নিয়ে রওনা হলে দুর্যোগের কারণে বোট নিয়ে ফিরে এসেছি। মহাজনদের চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। মাছের ওপর নির্ভর করেই চলে আমাদের জীবন ও জীবিকা।

বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ক্রমাগতভাবে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ছেন। মৎস্যজীবীরা ধার-দেনা করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সাগরে বোট পাঠিয়ে মাছ ধরতে না পেরে লোকসান গুনছেন।একদিকে ডিজেল ও মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ট্রলার সাগরে গিয়ে মাছ ছাড়াই ফিরে আসছে। মাছ শিকারে যাওয়া প্রত্যেক জেলের পেছনে অনেক খরচ। এবার সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার নিয়ে সাগরে যাওয়ার পর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়েছে। এমন চলতে থাকলে ধীরে ধীরে পেশা বদলে ফেলতে পারেন অনেকে।

বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম খোকন জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে অনেক জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুইবার খালি বোট নিয়ে ফিরে এসেছেন। প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়েই আমাদের দেশীয় জেলেরা বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েন। ভারতের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের দেশের সাগরে নিষেধাজ্ঞা দিলে জেলেরা ভালোভাবে মাছ ধরতে পারতেন। একদিকে ডিজেল ও মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ট্রলার সাগরে গিয়ে মাছ ছাড়াই ফিরে আসছে। মাছ শিকারে যাওয়া প্রত্যেক জেলের পেছনে অনেক খরচ। এবার সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার নিয়ে সাগরে যাওয়ার পর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়েছে। এমন চলতে থাকলে ধীরে ধীরে পেশা বদলে ফেলতে পারেন অনেকে।এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD