October 13, 2024, 8:05 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা সুজানগরে পত্তনকৃত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘ*র্ষে আহত ১৩ দোয়ারাবাজারে শারদীয় দূর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি কলিমউদ্দিন আহমদ মিলন কাঁঠালিয়া শৌজালিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপি নেতাদের পুজা মন্ডব পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান রাজশাহীতে বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নলছিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত প্রতিবেশীদের অপমান সহ্য করতে না পেরে তরুণীর বিষপান হৃদরোগে আক্রান্ত সাংবাদিক মিনা বাঁচতে চায় মোরেলগঞ্জে শহীদ মাহফুজের কবর জিয়ারত করলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম
শার্শার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তাজমিরের হাত পা ধরে ছুড়ে ফেলা হয় নিচে, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

শার্শার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তাজমিরের হাত পা ধরে ছুড়ে ফেলা হয় নিচে, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

আজিজুল ইসলামঃ যশোরের শার্শার গোগা দারুচ্ছালাম হাফেজিয়া নুরানি ও কওমি মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী তাজমির মাহমুদ নয়ন (১২) দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন করা হয়েছিলো। এবং নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু ঘটে। তাজমির মৃত্যুর আগে সব কথা তার মায়ের কাছে বলে গিয়েছিলো এমনটি দাবী তুলেছেন তাজমি রের পরিবার। নির্যাতনের একমাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তাজমির মাহমুদ নয়ন শার্শা উপজেলার বেনাপোল বৃত্তিআঁচড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের একমাত্র ছেলে।

তাজমিরের স্বজনেরা জানান, গোগা দারুচ্ছালাম হাফেজিয়া মাদ্রাসার ধান সংগ্রহ কালে হরিশ্চন্দ্র পুর গ্রামে সহপাটিদের সাথে তার ঝামেলা হয়। এতে তাজমিরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় তারা। এর জেরে গত ৮ ই মে রাতে আরিফুল, ইয়ানুর ও মহিম তাজমিরের ওপর নির্যাতন করে। রাতে ইয়ানুর তাজমিরের পা ধরে রাখে এবং মহিম তাজমিরের গলায় তার জড়িয়ে ফাঁস লাগায়। তাজমিরের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরুতে দেখে ঘাতকরা তাজমিরকে দোতালার ওপর থেকে নিচে ফেলে দেয়। এবং প্রচার করতে থাকে তাজমির পাইপ বেয়ে ৩ তলায় উঠতে যেয়ে নিচে পড়ে যায়। তাজমির ঘটনাটি তার শিক্ষকদের সাথে বলতে চাইলে তারা বলেন তুমি সুস্থ্য হলে সব শুনবো। একথা শিক্ষকরা আর শোনেননি।

পরের দিন তাজমিরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।অবশেষে ৩রা জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ ব্যাপারে ৪ ঠা জুন শার্শা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ তার নির্যাতনের পর মাদ্রাসায় থাকা বাক্স ভাংচুর করা হয়। তাজমির মৃত্যুর আগে তার নির্যাতনের কথা পরিবারের কাছে জানিয়ে বিচার দাবী করেছে বলে জানান স্বজনেরা। এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন নিহতের পরিবার। পিতা মাতা ও স্বজনেরা প্রকৃত ঘটনা বের করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান।

এবিষয়ে মাদ্রাসা পরিচলনা কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও অধ্যাক্ষ আব্দুল মজিদ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করেন। তারা বলেন মাদ্রাসার দড়িতে গলায় ফাঁস লেগে সে আহত হয়েছে। তাজমির মৃত্যুর আগে তার শিক্ষকদের সাথে কিছু বলে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে তাজমিরের বিষয়ে কোনো খোজ খবর নেননি।

এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হযেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের পোষ্ট মটাম করা হয়েছে। রিপোট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় কেহ দোষী হলে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD