October 5, 2024, 3:19 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
একাধিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ শিববাড়ি মোড় চত্বরে সাধারণ মুসলিম গোষ্ঠী ও সাধারণ ছাত্র সমাজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ রংপুরে গ্রামভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণী ও সমাপনী কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেটস এ্যাসোসিয়েশন বেকা-এর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালকিনিতে ইনডোর শিশু পার্কের উদ্বোধন নলছিটিতে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে যৌথ কর্মীসভা বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিমা তৈরির কর্মযজ্ঞ পরিদর্শন করলেন ময়মনসিংহের এসপি- ওসি চারঘাটে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন নলছিটিতে শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেফতার- ৩ সুজানগরে দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, যোগদানের ১৫ দিনের মাথায় ওসি প্রত্যাহার
যশোরের বাগআঁড়ায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

যশোরের বাগআঁড়ায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

আজিজুল ইসলামঃ
মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করা ও সময় মত বিল না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যশোরের বাগআঁচড়া অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর আওতায় বাগআচড়া সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ গ্রাহকরা।

প্রতি মাসে বাড়ি বাড়ি যেয়ে মিটার রিডিং না নেওয়া ও সময়মত বিদ্যুৎ বিল বাড়িতে পৌঁছে না দেওয়া টা তাদের নিয়মে পরিনত হয়েছে।গ্রাহকরা বলছেন,কয়েক মাস ধরে চলছে এ অবস্থা।অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

বাগআচড়ার জামতলা এলাকার আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ প্রতিমাসের ২৬ তারিখ।অথচ ২৪মে শুক্রবার পর্যন্ত এলাকার কেউই মে মাসের বিলটি হাতে পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

একজন বিদ্যুৎ গ্রাহক লেছি ইয়াসমিন বলেন,মিটার রিডাররা প্রতিমাসে না এসে মাঝে মাঝে আসে।সব সময় তারা অনুমান নির্ভর বিল করে থাকে।এতে প্রকৃত বিল আমরা দিতে পারি না।বিশেষ বিশেষ সময় মিটার দেখে রিডিং নিয়ে আমাদের উপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়।

অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎ বিল হলেও, এত টাকার বিল তো হওয়ার কথা নয়। আর তারা অনুমান নির্ভর বিল দেবেই বা কেন?

বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা ও মিটার রিডারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর মিটার রিডাররা বাসায় বাসায় গিয়ে মিটারের বর্তমান রিডিং নিয়ে আসেন। সেই রিডিং থেকে আগের মাসের প্রাপ্ত রিডিং বাদ দিলেই এই মাসের ব্যবহৃত বিদ্যুতের হিসাব পাওয়া যায়। সেগুলো বিভিন্ন স্ল্যাব অনুযায়ী হিসাব করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল করা হয়।

মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।

সামটা গ্রামের সেলিম রেজা বলেন,এদের পলিসিটা হলো এরা দু-চার মাস প্রকৃত বিলের চাইতে ইউনিট কম লেখে।বিশেষ করে জুন ও ডিসেম্বর মাসে প্রকৃত ইউনিট দিয়ে বিল করে তাতে এদের লাভ হচ্ছে বেশি ইউনিটে রেট বেশি পাওয়া যায়। আমরা জনগন আমাদের কিছু করার থাকে না। এ যেন শরতবাবুর শুভঙ্করের ফাঁকি।
জামতলা জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, গত মাসের
(এপ্রিল) জামতলা জামে মসজিদের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ওরা দেয়নি।আজ ২৪মে।মে মাসের বিল দেওয়ার শেষ তারিখ ২৬মে অথচ মে মাসের বিলের কাগজও পায়নি।দায় তাদের,অথচ জরিমানা দিতে হবে আমাদের।
একই কথা বলেন সোহেল রানা।তিনি বলেন,আমিও গত মাসের বিলের কাগজ পায়নি।মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেখে বিল দিলাম। এখনও এমাসের বিলের কাগজ পায়নি।

বাগআচড়ার গোলাম রব্বানী বলেন,ওরা আমার মিটারের রিডিং না দেখে বিল করেছে ১২হাজার ৭৩৮ টাকা।এব্যাপারে অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলছে, ‘তোমার বাড়ি এসি চলে তাই অতিরিক্ত বিল এসেছে।’ অথচ আমার বাড়ি কোন এসি নেই।বুঝিয়েও কোন লাভ হয়নি কারন ওদের রিডিং বই এ লেখা আছে আমার বাসায় এসি চলে।
টেংরা গ্রামের শামীম আহমেদ বলেন,
গত মাসে এক দিন আগে বিলের কাগজ পাইছি।বিদ্যুৎ অফিসের লোকেদের গ্রামে কিছু খাসচামচা (ইলেকট্রিশিয়ান)আছে যাদের কাছে বিদ্যুৎ বিলের কপি দিয়ে যায়।এরাই মুলত গ্রাহকদের কাছে পৌছে দেয়।একারনেই সময় মত গ্রাহকরা বিল হাতে পায় না।

বাগআচড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম গাজী সোহরাব হোসেনের কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন,বিদ্যুৎ বিল রিডিং যারা করেন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েই তো বিল রিডিং করে।তারা কেন অফিসে বসে বিল রিডিং করবে।এটা কোন সমস্যা না দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।আমাদের নতুন বিল রিডার এসেছে অনেক সময় বাড়ি খুজে পাইনা এজন্য হয়তো দেরি হয়ে গেছে। তবে সব কিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD