October 13, 2024, 4:57 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বাবুগঞ্জে সম্মাননা স্মারক পেলেন সহিদ প্যাদা উজিরপুরে ছয় বছরের শিশু কন্যাকে ধ*র্ষণের চেষ্টা,লম্পটকে আটক করে পুলিশে দিল এলাকাবাসী বরগুনার তালতলীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৭ জেলেকে জরিমানা মাদারীপুরে জমি নিয়ে পূর্ব শ*ত্রুতার জেরে হামলা, আহত ৪ চারঘাটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস অনুষ্ঠিত সুজানগরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের রাজশাহীতে বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন আগামীকাল ৫৫ তম বিশ্ব মান দিবস ৩৫ বছর পর আদালতের রায় পুলিশী নিষেধাজ্ঞা অমান্য মামলায় হেরেও ঝিনাইদহে বিএনপি নেত্রী দখল করলেন অন্যের জমি বীজ প্রত্যয়ন অফিসারের যোগসাজসে রাজশাহীতে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ বীজ
বাগেরহাটের ফকিরহাটে লতিরাজ কচু চাষে কৃষকের সাফল্য

বাগেরহাটের ফকিরহাটে লতিরাজ কচু চাষে কৃষকের সাফল্য

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির: বাগেরহাটের ফকিরহাটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সবজি লতিরাজ কচু চাষ করে সাফল্য পেয়েছে উপজেলার পিলজংগ গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম।
কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ও পরামর্শে তিনি লতিরাজ কচু চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ হন। এরপর তিনি কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন করার পর তাকে ২০ শতক জমি একটি প্রদর্শনী প্রদান করা হয়। তিনি সেই প্রদর্শনীর জমি সম্প্রসারণ করে ৩০ শতক জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করেন। তার জমির লতিরাজ কচু বিক্রয়রে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি চাষাবাদের জমি বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়া এর মাধ্যমে তিনি পুর্বের ঋণের টাকাও পরিশোধ করেন। বর্তমানে দরিদ্র এই কৃষক সচ্ছলভাবে সংসার পরিচালনা করছেন। তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষক লতিরাজ কচু চাষে আগ্রহ হয়েছেন।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মন্ডল ও তানিয়া রহমান জানান, বর্তমানের উপজেলার ফকিরহাট সদর, বেতাগা, পিলজংগ, বাহিরদিয়া-মানসা সহ বিভিন্ন এলাকায় এই কচু চাষ করছেন অনেক কৃষক। তারা আরো জানান, কৃষকরা কচু চারা রোপণের প্রায় এক মাস থেকে দেড়মাস পর ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কচুর লতি বিক্রি শুরু করেন। কচুর লতি বিক্রি পাশাপাশি কচুর চারা বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের উৎপাদন খরচের চেয়ে লতিরাজ কচুতে অল্প পুঁজিতে ভালো লাভ পাওয়া যায় বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট উপজেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীরা উন্নত জাতের মুখী কচু, পানি কচু ও লতিরাজ কচু চাষের আওতায় এসেছেন। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব কৃষকরা কচু চাষে সাফল্য পেয়েছেন। কম সময়ে ভালো ফলন, কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ার কারনে এ ফসলটি চাষে লাভবান হয়েছেন লতিরাজ কচু চাষীরা।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদেরকে লতিরাজ কচু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। লতিরাজ কচুর ভালো ফলন ও বাজারের চাহিদার কারণে অনেক কৃষক চাষ শুরু করেছেন। কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ জাতের কচু চাষ করছেন। আয়রণ সমৃদ্ধ এ সবজির লতি, পাতা এবং কচু কোনটাই অপচয় হয় না। লতিরাজ কচু অনেকের কাছে প্রিয় সবজি। কচুপাতা শাক হিসেবে বিক্রি ও জৈব সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। অনেকে কম্পোস্ট সার তৈরিতে ব্যবহার করছেন কচুপাতা।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD