October 14, 2024, 10:06 pm
মহেশপুর(ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের রায়পুর ছয়ঘরিয়া গ্রামে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ৩ সন্তানের জননী শিউলী খাতুন নামে এক সিজারিয়ান রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন জানান ১২ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধা রাতে জিন্নানগর বাজারে অবস্থিত পল্লী চিকিৎসক শফি উদ্দিন শফি রোগীকে ইনজেকশন পুশ করলে রোগী মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে এসময় পরিবারের লোকজন দ্রত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে কুশাডাঙ্গা নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়।
শিউলি খাতুন উপজেলার রায়পুরার ছয়ঘরিয়া গ্রামের সেলিম হোসনের মেয়ে ও কাজিরবেড় গ্রামের প্রবাসী মিলন মিয়ার স্ত্রী সে ৩ সন্তানের জননী।
নিহত শিউলী খাতুনের চাচা জাহের আলী বলেন,পল্লী চিকিৎসক শফি এসে শিউলীকে একটি ইনজেকশন দেয়, এর ৫ মিনিট পরেই সে ছটফট করতে থাকে,পরবর্তীতে শিউলীকে জিন্নাহনগর বাজারে অবস্থিত মনোয়ারা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। রোগীর অবস্থা আশংখ্যাজনক হওয়ায় পরে জীবননগরের উদ্দেশ্য রওনা দিলে কুশাডাংগা নামক স্থানে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
জাহের আলীর অভিযোগ পল্লী চিকিৎসক শফির
ভূল চিকিৎসায় শিউলী খাতুনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিষয়ে রায়পুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহির উদ্দীনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বুকে কফ জমার কারনে পল্লী চিকিৎসক শফি নিজেই শিউলী খাতুনকে একটি ইনজেকশন দেয়। শিউলী খাতুনের লাশ ময়নাতদন্ত হতে পারে এই ভয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পল্লী চিকিৎসক শফির ইনজেকশন দেওয়ার কথাটি সম্পূর্ন অস্বীকার করেন নিহত শিউলী খাতুনের মা বাবা।
তারা বলেন,আমার মেয়ের এজমা ও শ্বাস কষ্টের সমস্যা ছিলো। তাকে দেড় মাস পূর্বে জিন্নাহনগর বাজারে অবস্থিত মনোয়ারা ক্লিনিক থেকে সিজার করে ছিলাম।
গত কাল রাতে শিউলীর অবস্থা খারাপ দেখে আমরা পল্লী চিকিৎসক শফিকে ডেকেছিলাম। পরে জীবননগর নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।
এই বিষয়ে মনোয়ারা ক্লিনিকের পরিচালক জুলফিকার আলি জুলু বলেন, আড়াই মাস পূর্বে আমার ক্লিনিক থেকে শিউলী খাতুন সিজার হয়। এখন যদি কোন সমস্যায় তার মৃত্যু হয় সেই বিষয়ে তো আমার কিছু বলার নেই।
স্থানীয় একজন বলেন, চিকিৎসক শফি গতকাল রাতে শিউলীকে ইনজেকশন দিয়েছিলো। এর পরেই তার অবস্থা খারাপ হয়। এসব কথা বলার পরে নিহতের পরিবার ওই ব্যক্তির ওপর চড়াও হয়ে মারমুখি আচরণ করেন। এঘটনায় অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক শফির ফার্মেসীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার
মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ইনজেকশন দেওয়ার কথাটি অস্বীকার করে বলেন, শিউলীর বাড়ি থেকে আমাকে ফোন দেওয়ার পরে আমি গিয়েছিলাম। অবস্থা খারাপ দেখে জীবননগর নিয়ে যাওয়ার কথা বলি।
এবিষয় মহেশপুর থানাধীন ভৈরবা ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ এসআই আব্দুল মান্নান এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনাস্তলে গিয়েছিলাম।নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ নেই।
এব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. হেদায়েত মাহমুদ বিন সেতুর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।