October 9, 2024, 4:52 pm
এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট : বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে যখন করোনার মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তখন ডেঙ্গু আতঙ্কে মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচতে দরিদ্র মানুষ কয়েলের উপর নির্ভর করে থাকে। দিনে রাতে মশা তাড়াতে মানুষ কয়েল ব্যবহার করে থাকে। ডেঙ্গুর কারনে অন্য বছরের তুলনায় চলতি বছর মশার কয়েলের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুন। সেই সুযোগে বাজার ছেঁয়ে গেছে নিম্নমানের অনুমোদনহীন নন-ব্র্যান্ডের কয়েল। ফলে গরিব ও অসহায় মানুষ মশা তাড়াতে গিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছে। এসব নিম্নমানের কয়ের উচ্চমাত্রার রাসায়নিক ব্যবহারের কারনে মশা দূরে থাকে আবার দামেও সস্তা। ফলে নন-ব্র্যান্ডের কয়েলের দাপট এখন মোরেলগঞ্জের বাজার জুড়ে। নিম্নমানের এসব কয়েল জনস্বাস্থ্যর জন্য মারাতœক ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েরের স্বাস্থ্যঝুঁকিরবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশার কয়েলে পারমেথ্রিন, বায়ো-আলোথ্রিন, টেট্রাথ্রিন, ইমিপোথ্রিনের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। কোনো পণ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় এসব ব্যবহার হলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও ফুসফুসের সমস্য দেখা দিতে পারে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। এছাড়া কয়েলের ধোঁয়া থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোঅক্সাইড বের হয়, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী ও শিশুর বেশি ক্ষতি করে। গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটে। শুধু তাই নয় একটি মশার কয়েল থেকে যে পরিমান ধোঁয়া বের হয় তা একশটির বেশি সিগারেটের ক্ষতির সমান। তথ্য মতে, বাজারে বাংলাদেশ স্ট্যার্ন্ডাস এন্ড্য টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত ব্র্যান্ডের বা তালিকাভুক্ত মশার কয়েলের সংখ্যা ১২৫টির। বাজার ঘুরে জানা যায়, এসিআই, গুডনাইট, ইঈল ও গোবোরসহ অরো কিছু ব্র্যান্ডের কয়েল রয়েছে। তাছাড়া দৃশ্যমান জোনাকী, ঈগল ম্যাক্স, বারুদ, স্করপিয়ন, গুডনাইট, এক্সটেইম, ঈগল ওয়ান, স্ট্রেইট শুটার, ঈগল বুষ্টার, নিনজা, বাওজা (চায়না), তিতাস, রিকো, জাম্বু, বেঙ্গল, দোয়েল সুপারসহ বিভিন্ন নামীয় কয়েল। এছাড়া বাহারী নামের অনেক মশার কয়েলও রয়েছে বাজারে। তবে কোনো কোনেটি অনুমোদিত ব্র্যান্ড হলেও বাজারে ওই নামের নকল কয়েল মিলছে। #