October 14, 2024, 11:51 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে ড্রাগন বাগানে শিয়াল মারার ফাঁদে   বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে ১ কৃষকের মৃত্যু সুজানগরে বজ্রপাতে নিহতের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান রংপুরে বিএসটিআই’র উদ্যোগে পালিত হয়েছে বিশ্ব মান দিবস শ্লোগানে পালিত হল বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০২৪ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেতাগী প্রেসক্লাবের ভবন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন যশোরের বাগআঁচড়ায় বিএনপি’র সহযোগিতায় ভি,ডব্লিউবির চাল পেলো ৩০৮ পরিবার নড়াইলে বর্ষা মৌশুমে কয়েক দফা ভারী বর্ষনে মৎস্য ও কৃষি খাতে ক্ষতি শত কোটি টাকা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জের জেলার মামুনুর রশিদ যেন ঝিনাইদহের জমিদার পুঠিয়ায় ফেস বুকে পোষ্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৩
পাইকগাছায় পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানে চাষীরা

পাইকগাছায় পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানে চাষীরা

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা।।
চলতি মৌসুমে পাইকগাছায় পাটের আশ ভালো হলেও হঠাৎ পাটের দাম কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। পাট চাষে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাজারদর নিন্মমুখী হওয়ায় ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা।দাম কমে যাওয়ায় হতাশাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। ফলে উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে কৃষক। এমনি পরিস্থিতিতে আগামী মৌসুম থেকে অনেকে পাট চাষ ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন ।
উপজেলার পাট চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, পাট চাষের সময় এবার নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়।বড় সমস্যা পাট জাগ দেওযার জায়গা পাওয়া যায় না। পাটের আবাদের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ কিছুটা কমে এসেছে। কারণ পাট পচানোর সমস্যা। এখন পুকুর-জলাশয় মাছ চাষের আওতায় এসেছে। ফলে মাছ চাষ করা পুকুর-জলাশয়ে পাট পচানো সম্ভব হচ্ছে না। বীজ বপণের সময় খরা হওয়ায় ঠিকমতো চারা গজায়নি। এতে ব্যাহত হয়েছে পাটের ফলন।প্রতি বিঘা জমিতে হালচাষ ও বীজ বপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশকের খরচ, পানি সেচ শ্রমিক খরচ, জাগ দেয়া, আঁশ ছড়ানোসহ ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ পড়েছে ১৫-১৬ হাজার টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে বাজারে পাট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি হলেও, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯শত থেকে ২ হাজার টাকা মন। অথচ গত বছরে এই পাট ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি হয়।
পাটের দাম কম হলেও পাটকাঠির প্রচুর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় পাট চাষীরা খরচ বাচানোর চেস্টা করছে। ছোট ছোট আটি হিসাবে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানী হিসাবে গৃহবধুদের কাছে পাটকাঠির চাহিদা খুব বেশি। পাটকাঠি দিয়ে সহজে উনুন জ্বালানো যায় ও সহজে রান্না করা যায়। এইজন্য গৃহবধুদের কাছে পাটকাঠির চাহিদা বেশি। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের পাটচাষী কেসমত সরদার জানান, শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় পাটের আবাদে খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।তারপরও পাটকাঠির দামের উপর নির্ভর করে পাট চাষ করছি।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে।সরকার পাটচাষিদেরও প্রণোদনা দিচ্ছে যাতে নতুন জাতের পাটের চাষাবাদ বাড়ে। রবি-১ পাটের নতুন জাত, এরজন্য প্রণোদনা রয়েছে। পাটের দাম আপাতত কিছুটা কম হলেও খুব দ্রুত সময়ে দাম বেড়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি। দাম বাড়লে কৃষক লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে উপ জেলায় পাট চাষির সংখ্যা বাড়বে বলে দাবি করেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD