October 9, 2024, 6:28 pm
মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কিসামত হলদিয়া গ্রামের জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাসেল মিয়া মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে সফলতার মুখ দেখিয়েছেন। তার মাঠে সবুজ পাতার ফাঁকে মাচায় ঝুলছে লাউ, শসা, বেগুন ও মরিচসহ বিভিন্ন সবজি। মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড এসব সবজি চাষে কম খরচে ফলন বেশি পাওয়া যায়। এসব সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন উচ্চ শিক্ষিত রাসেল (২৮)। তিনি উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিসামত হলদিয়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে। জানা গেছে, রাসেল কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ করেন। বাজারে সবজির চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় তিনি সবজি চাষ করতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। তার বাড়ির পাশের মাঠে প্রায় ২ বিঘারও বেশি জমিতে মালচিং পদ্ধিতে করলা, শসা, বেগুন, পটল ও ঝিঙে চাষ করেছেন।
মালচিং পদ্ধতিতে এ চাষে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে সে লাখ টাকার মত সবজি বিক্রি করেছেন। মাঠে এখনো যা সবজি আছে, তাতে আরও ৩ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। বর্তমানে তার এখানে ৪ হতে ৫ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রাসেল মিয়া জানান, সে বগুড়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেড তৈরি করে রাসায়নিক ও জৈব সার একসঙ্গে প্রয়োগ করে জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেন। এতে অতিবৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। এতে উৎপাদন খরচ কম। শসা ও ঝিঙে রোপণের ২৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে। ৪৫ দিনের মধ্যে বড় হয়ে যায়। ৭০ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়।
সে জানান, বারো মাসই শসা, পটল, ঝিঙের ব্যাপক চাহিদা থাকে। দামও ভালো পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে পাইকারি হিসেবে প্রায় ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই ব্লকের সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সৌরভ জানান, এটি একটি লাভজনক নতুন পদ্ধতি আশা করছি দ্রুত এটি সারা উপজলায় ছড়িয়ে যাবে। আমিও সবসময় রাসেলকে সহযোগিতা করে আসছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, এই উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ প্রথম শুরু হয়েছে । আশা করি এতে চাষীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। এ পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে সার ও সেচ অন্য পদ্ধতির চেয়ে কম লাগে। রোগবালাইও অনেক কম। আগাছা দমনের জন্য এ পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো।