October 9, 2024, 1:51 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামে পুজা মন্ডপের আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠিত র‌্যাব-১২ কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার ঘুঘু পাখি বিলুপ্তি প্রায় মহেশপুর থেকে হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার সুজানগর পৌর শহরের যানজট নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান সুজানগরে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ বরেন্দ্রের প্রাণপুরুষ ড,এম আসাদুজ্জামান সুজানগর পৌর এলাকায় প্রতিমা মূর্তি ভাংচুর মামলার প্রধান আসামি আগুন বাচ্চু গ্রেফতার মোরেলগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ডিমের আমদানি হলেও বাজারে দাম কমেনি
মোরেলগঞ্জে ডিম আলুও পিয়াজ বাড়তি দামেই বিক্রি

মোরেলগঞ্জে ডিম আলুও পিয়াজ বাড়তি দামেই বিক্রি

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট সংবাদদাতা:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকার ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন মোরেলগঞ্জেরব্যবসায়ীরা।একাধিক কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করা দামে আমরা কিনেও আনতে পারিনি, তাহলে ওই দামে বিক্রি করবো কী করে।
মোরেলগঞ্জ কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, যথারীতি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে, যেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা করে। এছাড়াও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে, যেখানে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা।

এছাড়াও ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫৫ টাকা করে, যেখানে সরকারি নির্ধারিত দাম ৪৮ টাকা। আলুর দাম প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী জাহাংগীর ফরাজী বলেন, আলু বর্তমানে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারি দরেই কিনে আনতে হয়েছে। ৪৪-৪৫ টাকার নিচে কিনতে পারাই কঠিন, তাহলে সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা করে বিক্রি করবো কী করে? আমরা কি লস দিয়ে বিক্রি করবো? আমরা যদি কমে কিনতে পারি তাহলে অবশ্যই কমে বিক্রি করবো।

তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের তালিকা এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আমরা যদি ওই দামে কিনতে পারি তাহলে তো বেশি দামি বিক্রি করার কোনো মানে হয় না। দাম কম থাকলে বরং বিক্রি আরও বেশি হয়। ডিম কিনতে আসা সাথী ইসলাম জানান ডিম আমার কাছে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করছে।ডিম কিনতে দাম জানতে চাইলে ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন শেখ জানান, এক হালি ৫০ টাকা সরকার তো দর বাঁইধা দিয়েছে পিসের দাম ১২ টাকা। আমরা ১২ টাকায় কিনিচি। এক পিস নিলে দাম ১৩ টাকা। কোনটা নিবেন কন, হালি না পিস।
মোরেলগঞ্জ কাঁচা বাজারের মুদি পণ্য বিক্রেতা হারুন শেখ বলেন, সরকারের হিসাব আমাদের জানা নাই। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি, কমে কিনলে কমে বিক্রি করি।

সরোয়ার হোসেন সেন্টু নামের দোকানদার বলেন, কাল মাত্র দাম কমিয়েছে শুনেছি। একটু সময় দেন।

এগুলো মাল (পণ্য) শেষ হোক। আমরা যখন পাইকারিতে কম দামে কিনতে পারবো, তখন অটোমেটিক খুচরায় কমে যাবে। সরকারকে বলেন, খুলনার পাইকারি বাজার তদারকি করতে।

সরকার নির্ধারিত দাম প্রসঙ্গে আপনারা অবগত কি না? জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দির রশিদ ফকির বলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই অবগত। বিষয় হলো সরকার নির্ধারিত এই দাম আমাদের কাছে আসতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। সরকার নির্ধারিত
যে পেঁয়াজের দাম, সে দামে আমরা আজকে কিনেও আনতে পারিনি। তাহলে কীভাবে সেই দামে বিক্রি করবো?

তিনি বলেন, আলুর যে সিন্ডিকেট, ভোক্তা পর্যায়ে আসার আগেই দামের পাঁচটি স্তর রয়েছে।

৩০ টাকার আলু যদি এই পাঁচটি স্তরে দুই টাকা করেও লাভ করা হয়, তারপরও ১০ টাকা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হবে।’

কোনো কিছুর দাম বাড়লে খুচরা বাজারে সঙ্গে সঙ্গেই দাম বেড়ে যায়, দাম কমার ক্ষেত্রে তাহলে কেন ধীরগতি? -এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, আমাদের খুচরা বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম আড়তের সঙ্গে মিলিয়ে বিক্রি করতে হয়। আড়ৎ যদি রাতারাতি দাম কমিয়ে দেয়, তাহলে আমরাও কমে বিক্রি করতে পারি। আবার আরও যদি রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। দামটা আসলে সরাসরি আড়তের সঙ্গে নির্ধারিত।

ডিমের পাইকারি বাজারে ভিন্ন ভিন্ন দাম দেখা গেছে। ভ্যানে করে দোকানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ১২ টাকা পিস হিসাবে। কিন্তু মাগুরখালী বাজারে ১৩ প্রতি পিস ১২ টাকা ২০ পয়সা হিসাবেবিক্রি করছে।
মোরেলগঞ্জ এক ডিম বিক্রেতা বলেন, সরকার ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে, আমিও ১২ টাকা বিক্রি করবো। তবে ১০০ পিস নিতে হবে একসঙ্গে।

কারণ পাইকারি ডিম কিনেছি ১২ টাকা দরে। এরপর ভাড়া ও অন্যান্য খরচ আছে। আমিতো আর লোকসানে বেচবো না। লোকসানের টাকা কি সরকার আমাকে দেবে?

ডিম বিক্রেতা ফারুক বলেন, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি করছি ১৫৫ টাকা করে, হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা করে। সরকারের নতুন দাম নির্ধারণ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমরা যদি কম দামে কিনে আনতে পারি, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে খুচরা বাজারে তদারকি করার আগে পাইকারি বাজার এবং আড়ৎগুলোতে কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি আপনাদের দেখা উচিত।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি সরকার আলু পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাজারে এসে তার কোনো প্রতিফলন দেখছি না। যেখানে আলু বিক্রি করতে বলা হয়েছে ৩৫ টাকা করে, সেখানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। এখনও দামের কতটুকু পার্থক্য ভাবাই যায় না।

আজকে যদি দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো হতো, তাহলে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তি দামে বিক্রি শুরু হয়ে যেত। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের চরিত্রটাই এমন হয়ে গেছে।

এই ডিম বিক্রেতা বলেন, বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কেউ কারও নির্দেশনা মানে না। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়াচ্ছে, আর বিক্রি করছে। মানুষ তাদের কাছে অনেকটাই জিম্মি। #######
(এস এম সাইফুল ইসলাম কবির)

বাগেরহাট সংবাদদাতা
০১৭১১৩৭৭৪৫০
তাং ১৮/৯/২৩

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD