October 9, 2024, 12:55 pm
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর(পাবনা) ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বেড় জাল, বাঁশের বেড়া,খড়াজাল, সোঁতিজাল ও চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে প্রচুর ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, নদ-নদী,খাল বিলে মাছ চলাচলের পথে আড়াআড়ি বাধ বা স্থায়ী ভাবে বেড়া দেওয়া মৎস্য আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া প্রতিবছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ ইি র ছোট নলা মাছ (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ ও ঘনিয়া) এবং ৩০ সেন্টিমিটারের ছোট বোয়াল ও আইড় মাছ ধরা বা বিক্রি দন্ডণীয় অপরাধ। মৎস্য সংরক্ষণ আইনে এ বিধি লংঘল করলে এক থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা যেতে পারে। সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে এ আইন লঙ্ঘন করে উপজেলার গাজনার বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে খড়াজাল,সোঁতিজাল,চায়না জাল ও বাঁশের বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, গাজনার বিলের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ করে বস্তাল,শারীরভিটা,খয়রান ব্রীজ এলাকা, বাদাই,উলাটও হাটখালীতে এভাবে মাছ ধরছেন শত শত মানুষ। বিলে বেড়জাল দিয়ে মাছ ধরার কাজে জড়িত শাহাদত হোসেনে নামে এক ব্যক্তি বলেন, এভাবে আমার মত শত শত মানুষ এই বিলে অবৈধ বেড় জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল দিয়ে ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ শিকার করছেন । স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতার কারণেই উপজেলার গাজনার বিলে এভাবে অবাধে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে।আর সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে এভাবে মাছ শিকারের কারণে বিলে মাছের বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে না। এ কারণে আগের মতো আর মাছ পাওয়া যায় না। মৎসীজিবিরাও বেকার হয়ে পড়েছেন। উপজেলা মৎস্য কর্তকর্তা নূর কাজমীর জামান বলেন, গাজনার বিলে অবৈধভাবে মাছ শিকার রোধ করতে ইতিমধ্যে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ফেলানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় মানুষদের সচেতনতা তৈরিতে মাইকিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইউএনও মো.তরিকুল ইসলাম জানান, আইন লঙ্ঘনকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা ।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা) প্রতিনিধি।