October 5, 2024, 3:41 am
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (প্রতিনিধি)।। পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদে আবারো ব্যাপক হারে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে নির্ঘুম রাত পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
নদের পানি বৃদ্ধি ও পানির গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। কপোতাক্ষ ভাঙ্গনে ইতিমধ্য কপিলমুনি ইউনিয়নের ভেদামারি গ্রামের আংশিক ও হরিঢালী ইউনিয়নে দর্গাহমহল গ্রামটির ভাঙ্গনে নদের কুলের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে । নদের পাশে বসবাসরত সৈয়দ হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের বাপ-দাদার পূর্বপুরুষের ভিটায় আমরা শত বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কপোতাক্ষ ভাঙ্গনে আমাদের সব কিছু চলে গেছে। অল্প একটু জমির উপর একখানা ঘর ছিলো তাও গত রাতে আকস্মিক ধ্বসে সেটিও চলে যেতে বসেছে। ছেলে মেয়েদের নিয়ে সারারাত বসে থাকি। কখন না ঘরখানা নিয়ে চলে যায়। আমাদের আর জমি কেনার ক্ষমতাও নাই যে অন্যতরে জমি কিনে বসবাস করবো। আমাদের পূর্বপুরুষের প্রায় ৫০/৬০ ঘর-বাড়ি নদের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকেই জমি কিনে অন্যতরে বসবাস করছে আবার অনেকেই রাস্তার পাশে সরকারী জায়গায় বসবাস করছে। এ বিষয় কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার ও হরিঢালী ইউনের চেয়ারম্যা আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু বলেন, আমরা ভেদামারি ও দর্গাহমহল গ্রামের ভাঙ্গনের বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টুর সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট বলেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। পাইকগাছা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌলী রাজু আহম্মেদ হাওলাদার বলেন, আমরা ভাঙ্গনের বিষয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্ধ এলে শুকনার সময় কাজ শুরু হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টু বলেন, ভাঙ্গন বিষয় শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। এখানে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন। সার্ভায় করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু করবো। পাইকগাছা- কয়রার সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ভেদামারী, মালথ আগড়ঘাটা ও দর্গাহমহল ভাঙ্গন দির্ঘদিনের। এ ভাঙ্গনের ফলে দুটি গ্রাম বিলিন হওয়ার পথে। সে কারণে কপোতাক্ষ নদের আগড়ঘাটা ভাঙ্গন কবলিত ওই স্থান গুলো ভাঙ্গন ঠেকাতে এক কিলোমিটার দুর দিয়ে বিকল্প নদী খনন কাজ চলমান আছে। খনন কাজ শেষ হলে এখানকার ভাঙ্গন থাকবে না বলে আশা করছি।
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা, খুলনা।