October 9, 2024, 12:33 pm
বিশেষ প্রতিবেদন,পর্ব ৪ ।।
বানারিপাড়ার MTFE এর প্রায় ১৫ জন CEO পলাতক রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ সুত্রে জানাযায় MTFE এর মালিক কুমিল্লার মাসুদ আল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আইটি বিশেষজ্ঞ প্রথমে ছোট খাট হেকিং করে আয় করত পরবর্তীতে দুবাই গিয়ে MTFE এ্যাপটি তার ভাইয়ের সহযোগিতায় তৈরি করে বিজনেস শুরু করেন। আর এদেরই হাত ধরেই বানারীপাড়া সলিয়া বাকপুরের হাফেজ আব্দুর রহমান নিয়েে আসেন MTFE এ্যাপটি। হাফেজ আব্দুর রহমান বলতে গেলে সরসরি MTFE এর মালিক পক্ষ ছিলো। খোঁজ নিয়ে জানাযায় হাফেজ আব্দুর রহমানের ঘরে CEO ছিলো তিনজন বা তারও অধিক। এছাড়াও এক শিবির নেতা ও তার স্ত্রী ছিলেন CEO। এক ছাত্রদল নেতার ঘরে CEO ছিলেন মোট তিনজন ও ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে ছিলো দুজন তবে দুজনই CEO হয়েছিলেন MTFE পালানোর আগ মুহুর্তে তবে তারা কোন CEO এর সুবিধা ভোগ করতে পারেনি। আরোও জানাযায় এক ব্রীকস ব্যবসায়ীও ছিলেন CEO যিনি ডেসটিনিতেও রহমানের সাথে ছিলেন। এছাড়াও দুজন ছিলেন মোবাইল মেকানিক বা মোবাইল ব্যবসায়ী। এছাড়াও খবর পাওয়া গেছে বানারীপাড়া সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে একজন CEO ছিলেন যার কোন তথ্যই উদঘাটন করা যায়নি।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এদের বাইরে এক CEO জানান এছাড়াও CEO লেভেলের যাওয়ার জন্য প্রায় আরও একশত লোক বানারীপাড়ায় ছিলেন যারা আর দুই এক মাসের মধ্যেই CEO হয়ে যেতেন। তবে ওই প্রায় ১৫ জন CEO এর মধ্যে দুজন রিচার্জ করতে পারেনি বিধায় CEO হতে পারেনি। তিনি আরও জানান আসলে তারা বুঝতে পারিনি মাসুদ ও রহমান এতবড় প্রতারণা করবে তাদের সাথে। তিনি বলেন সবকিছু জন্য মাসুদ ও রহমানই দ্বায়ী। তবে যারা বিনিয়োগকারীদের অর্থাৎ জনগনদের ভূল তথ্য দিয়ে বিনিয়োগ করিয়েছেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানাযায় এই ১৫ জন CEO প্রায় সকলেই পলাতক আছেন। এছাড়াও বিনিয়োগকারীরা অর্থাৎ সাধারণ জনগনরা বিভিন্ন যায়গায় CEO দের গ্রেফতার দেখে ফেঁসে যেতে পারেন এই ভয়ে তারা আইনের দ্বারস্থ হচ্ছেন না। এছাড়াও বিনিয়োগকারীরা বুঝতেছে না যে সরকার ও প্রশাসন তাদের সম্পুর্নভাবে সহযোগিতা করবে।
ধারাবাহিক আসছে……