October 14, 2024, 8:35 pm
বিশেষ প্রতিনিধি।
প্রতারক আব্দুর রহমান দুবাই গিয়ে বানারীপাড়া MTFE বিনিয়োগকারীদের দেখালের বিজয় চিহ্ন। বানারীপাড়ায় এখন প্রতারণার একটি নাম আব্দুর রহমান। আব্দুর রহমান যিনি নিজে একজন হাফেজ তার পিতা একজন মাওলানা নাম তার আব্দুল মান্নান বা মান্নান মাওলানা। আব্দুর রহমানের বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের ফকির বাড়ি। তিনি মাদ্রাসা থেকে পাস করার পর জড়িয়ে পরেন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের রাজনীতিতে। তার এলাকায় এমন জনশ্রুতি আছে যে তিনি একসময় জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পরেছিলেন। পরবর্তীতে যার্বের একশনের ভয়ে তিনি সেখান থেকে বেড়িয়ে এসে যোগ দেন ডেসটিনিতে। বানারীপাড়া বন্দর বাজারের ময়দার মিলে তিনি ডেসটিনির অফিস ও নিয়েছিলেন। তখন তিনি ডেসটিনিতে বিনিয়োগ ও পাইওনিয়ার গাছ বিক্রির নামে হাতিয়ে নিয়েছিলেন দুই থেকে তিন কোটি টাকা। যখন ডেসটিনি গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে ব্যান হয়ে যায় তখন বানারীপাড়ায় নিঃশ্ব করেছিলেন শত শত পরিবার। তারপর থেকে তাকে আর দেখা যেত না। তারপর তিনি চলে যান কুয়েতে সেখানে বেশ ভালো আয় বানিজ্য শুরু করেন। তিনি সেখানে তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে শুরু করেন সুদের ব্যবসা অর্থাৎ কোন কুয়েত প্রবাসী যদি সমস্যায় পরতেন তাহলে তিনি তাকে সুদে টাকা দিতেন। এরপর তিনি চলে যান দুবাইতে তার পুরোনো ডেসটিনি গ্রুপের কাছে। দুবাইতে কিছু সময় অতিবাহিত করে MTFE এ্যাপটি নিয়ে
দেশে ফিরে, তার পুরোনো ডেসটিনি গ্রুপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন ও পরবর্তীতে তিনি নিজে নতুন MTFE গ্রুপ করেন এবং বানারীপাড়া,উজিরপুর,বাবুগঞ্জ বরিশাল ও ঝালকাঠি সহ বরিশাল বিভাগে রাজত্ব শুরু করেন। তাকে সকলে MTFE বস বলে ডাকতেন। তারপর তিনি আবার চলে যান দুইাইতে মাস দেড়েক পূর্বে তিনি বাংলাদেশে ফেরেন এবং কিছু দিন থেকে আবারও চলে যান দুবাইতে এবং MTFE এর হেড অফিস থেকে তিনি বিজয় সুচক অর্থাৎ Victory এর ভি চিহ্নটি দেখিয়ে একটি ছবি পাঠান হোয়াইটস আপ গ্রুপে। তখনও বানারীপাড়ার সাধারন মানুষ ভাবতে পারেনি তিনি বানারীপাড়ার MTFE বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে কেন ভি চিহ্নিত ছবি পাঠিয়েছেন। তবে আজ বানারীপাড়ার হাজার হাজার পরিবারের মানুষ বুঝতে পেরেছে কেন কিছুদিন পূর্বে তিনি বিজয় সুচক চিহ্নিত ছবি পাঠিয়েছেন। কারন হাফেজ আব্দুর রহমান তার উদ্দেশ্য সফল করেই দুবাইয়ের MTFE হেড অফিসে গিয়েছিলেন। হাফেজ আব্দুর রহমান বরিশাল বিভাগ ও তার সারাদেশে পুরোনো ডেসটিনি গ্রুপের সদস্যদের ব্যবহার করে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা নিয়ে দুবাইয়ের হেড অফিসে পৌছেছেন এবং তিনি দুবাইয়ের হেড অফিসে পৌছানোর পর শুধু এক সপ্তাহ উড্রো ও ট্রান্সফার সচল ছিলো পরবর্তী তিন সপ্তাহে আর উড্রো ও ট্রান্সফার হয়নি বরং বিনিয়োগকারীদের উল্টো ঋৃনগ্রস্থ বানিয়ে অর্থাৎ মাইনাস দিয়ে চলে গেছে MTFE। আবার পরবর্তী দিন বিনিয়োকারীদের MTFE উল্টো থ্রেড করে যে মাইনাসের টাকা অর্থাৎ ঋৃনের টাকা যদি ফেরত না দেয়া হয় তাহলে উকিল নোটিশ করবে। যদিও এই থ্রেডটি ছিলো MTFE তে যারা বিনিয়োগ করেছেন তারা যাতে তাদের CEO প্যানেলের উপর আইনি একশনে না যায় তার জন্য অর্থাৎ জনগণদের ভয় দেখানোই ছিল তাদের মূল কাজ। তার পরের দিন থেকে এ্যাপটি বন্ধ রয়েছে। এ্যাপটিতে এখন আর লগ ইন হচ্ছে না।
এদিকে হাফেজ আব্দুর রহমানের এক প্রতিবেশী জানান তার সকল নিকট আত্মীয় ইতিমধ্যে বানারীপাড়ার সলিয়া বাকপুরের বাড়ি ছেড়েছেন তারা কিছুদিনের মধ্যেই দুবাইয়ের ফ্লাইটে উঠবেন। তারা তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন এছাড়াও তারা প্রতারক হাফেজ আব্দুর রহমানকে যদি কোন সময়ে বাংলাদেশে দেখা যায় তাকে পার্শ্ববর্তী থানায় গ্রেফতার করানোর অনুরোধ করেছেন। এছাড়াও তারা বাংলাদেশী এ্যম্বাসেডর ও সিইওদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।