September 10, 2024, 5:36 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
কালকিনি মডেল প্রেসক্লাবের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সুন্দরবনের উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে মিষ্টি মাল্টার বাম্পার ফলন,কৃষকের মুখে হাসি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি পরিবারকে ২লক্ষ করে টাকা দিয়েছে জামায়াতে ইসলাম নলছিটিতে খাদ্য ভিত্তিক  পুষ্টি বিষক মেলা ও  ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডক্টর’স ফোরাম এনডিএফ-এর কুমিল্লা শাখার কমিটি অনুমোদন পঞ্চগড় চিনিকলে আবারো চুরি : চুরি করে পালানোর সময় দুইজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা আত্রাইয়ে এক রাতে ৯টি গরু-ছাগল চুরি সিএমপি ও চট্টগ্রাম জেলার ৩০ থানার ওসিদের একযোগে বদলির আদেশ বাবুগঞ্জে পালাক্রমে শিশু ধ*র্ষন অতপর থানায় মামলা টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন
নড়াইলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা

নড়াইলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
নড়াইল জেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। ফলন ভালো হলেও পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারছেন না তারা। গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি নামলেও তাতে পর্যাপ্ত পানি জমছে না জলাশয়ে। ফলে চরম দুঃশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৩৪৭০ হেক্টর জমিতে। সেখানে আবাদ হয়েছে ২৩৬৪৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এবং গতবছরের তুলনায় এ বছর ৩০৫ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ডোবা-নালার সামান্য ময়লা পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষক। জাগ দেওয়ার জায়গা না থাকায় কেউ কেউ পাট কাটতে ভয় পাচ্ছেন। কারো কারো পাট কাটার পর পড়ে আছে জমিতে। কোথাও শ্যালো মেশিন দিয়ে জলাশয়ে পানি ভরে সেখানেই পাট জাগ দিচ্ছেন কৃষক।
আবার কোথাও ক্ষেত থেকে গাড়িতে করে দূরবর্তী স্থানে নদীতে বা জলাশয়ে পাট নিয়ে যাচ্ছেন জাগ দিতে। এতে করে বাড়ছে পরিবহন খরচ। মৌসুমের শুরু থেকে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করার পর এখন পাট পঁচাতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। ফলে উৎপাদন খরচ উঠিয়ে লাভের মুখ দেখতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।
পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এলাকার পাট চাষি নূর মিয়া বলেন, কোথাও পানি নেই। পাটের আটি প্রতি ৬-৭ টাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে পাট এনে অন্যের জায়গায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি ভরে জাগ দিতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের পাট চাষি জুবায়ের মোল্যা বলেন, এ বছর পাট চাষের শুরু থেকেই বৃষ্টি নেই। সেচ দিয়ে পাট চাষ করতে হয়েছে। সেখানে অনেক খরচ হয়েছে। পোকা দমনে বিষ প্রয়োগ করতে হয়েছে। সার-ওষুধের দাম বেশি। এখন পাট কাটার সময় জলাশয়ে পানি নাই। জাগ ঢাকার উপকরণ কচুড়িপানাও নেই।
উজিরপুর এলাকার এক কৃষক বলেন, পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু পাট নিয়ে এবার প্রধান সমস্যা হলো পানির সংকট। প্রথমে সেচ দিয়ে পাট চাষ শুরু করতে হয়েছে। এখন শ্যালো মেশিন দিয়ে বিভিন্ন জলাশয়ে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। ফলে পাট চাষে এবছর খরচ বেড়েছে অনেক। পাটের দাম বৃদ্ধি না হলে লাভের মুখ দেখবে না কৃষক।
কালিয়া উপজেলার বি. পাটনা গ্রামের কৃষক মনোজ সরকার বলেন, পাটের ফলন ভালো হলেও পাট জাগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। ৮০০-৮৫০ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক দিয়ে মাঠ থেকে পাট কেটে নিয়ে জাগ দেওয়ার জায়গা নিতে হচ্ছে। তাদের এলাকায় যেসব জায়গায় পাট জাগ দিচ্ছে সেখানে পানি কম থাকায় পাটের মান খারাপ হচ্ছে। ফলে সেই পাটের বাজারদরও কম পাচ্ছে তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, পাট চাষের শুরুর দিকে বৃষ্টি ছিল না বললেই চলে। পরবর্তীতে মে থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪০০ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি আরো বৃষ্টি হবে। কৃষক নির্বিঘ্নে পাট পচাতে সক্ষম হবেন। পাটের বাজারদরও সামনে বাড়বে বলে মনে করছেন এই কর্মকর্তা। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD