September 23, 2023, 6:55 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পাইকগাছায় এক সাথে জন্ম নেওয়া জমজ তিন শিশু কন্যার এক জনের মৃত্যু; অর্থ সংকটে চিকিৎসা ব্যহত তেঁতুলিয়ায় মনিকো গুচ্ছগ্রামে গড়ে উঠেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪’র সাংবাদিক সাদ্দামের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ নড়াইলে বিদুত্যের খুটি অপসারন না করায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ‘চাঁচুড়ী সেতু’ তানোর যুবলীগে ফের প্রাণচাঞ্চল্য রাজশাহী জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে তৃণমূলের আস্থায় জাহাঙ্গীর পানছড়িতে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন বানারীপাড়ায় চুরি ও মাদক বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কর্মীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ঘর দেয়ায় শেখের বেটি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই ও তার জন্য দোয়া করি

ঘর দেয়ায় শেখের বেটি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই ও তার জন্য দোয়া করি

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের সখিনা বেগম (৭০)। স্বামী মোহাম্মদ শেখ (৮০) মনিকদাহ খেয়া ঘাটে নৌকা চালাতেন। এখন প্যারালাইসিস হয়ে ঘরে পড়া। ৩ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়া এখন স্বামী নিয়ে তার সংসার। দিনমজুরী করলে পান তিনশ টাকা। তাই দিয়ে কোন রকমে চালিয়ে নেন সংসার। থাকেন একটি ঝুপড়ি ঘরের। বর্ষা বৃস্টিতে কোন রকমে দিন পার করতে তিনি।

তবে প্রধানমন্ত্রী ঘর পেয়ে তার মুখে ফুটেছে হাঁসি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে খুব খুশি। এখন আর কষ্ট করতে হবে না। অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে এখন মাথা গোজার ঠাই হয়েছে। ঘর দেয়ায় শেখের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তার জন্য দোয়া করি সে যেন দীর্ঘায়ু হয়, আবার যেন প্রধানমন্ত্রী হয়। এভাবেই কথাগুলো বলতে তার দুচোখ দিয়ে বেয়ে পড়লো আনন্দাশ্রু।

শুধু সখিনা বেগম নয় এমন আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করেছে ২৪৭টি পরিবার। যাদের মাথা গোজার ঠাই হয়েছে।

মুজিব জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ২৪৭ টি নতুন ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারে মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার (০৯ আগষ্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে গোপালগঞ্জে ঘর ও ২ শতাংশ জমির কাগজপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলায় আয়োজিত ঘর বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের মোট ৪ হাজার ৫২টি ঘর বিতরণ করা হলো।

এ ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. নাজমুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসটি) মো: গোলাম কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহাসিন উদ্দীন, সহকারী কমিশনার মো: আল মামুন, ফেরদৌস ওয়াহেদ, এসএম ইমাম রাজী টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যানগনসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, উপকারভোগী প্রান্তিক জনগোষ্ঠির নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

ঘর পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদহ গ্রামের নজিরন বেগম (৪০) বলেন, মা-বাবা আমাদের জন্য যা করতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা আমাদের জন্য করে দিয়েছেন। তিনি ঘর ও দুই শতাংশ জমি দিয়েছেন। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য সব সময় দোয়া-মোনাজাত করব।

মানিকদহ গ্রামে ঘর পেয়ে খুশি জাহিদ মিয়া (৪৫) বলেন, নিজের ঘর ছিল না। তাই অন্যের জায়গায় থাকতাম। ভাড়া দিতে কষ্ট হত। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে স্বল্প আয়ে চলতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর দিয়েছেন। এখন মাথাগোঁজার জায়গা হয়েছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে পাকা ঘরে থাকতে পারছি। এটি আমার জন্য পরম পাওয়া। এটি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি, যে আমার ঘর হবে। এজন্য আল্লাহ যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বারবার প্রধানমন্ত্রী করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য এই শুভ কামনা।

গৃহহীন ও ভূমিহীন জালাল মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম আমাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে তালিকাভূক্ত করেছেন। অবশেষে আমাকে একটি ঘর দিয়ে বড় উপকার করেছেন। এজন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রকল্প গ্রহন করেছেন। তাই ঘর পেয়েছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চির কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, জেলায় মোট গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা তালিকাভূক্ত করা হয়েছে ৪ হাজার ২৫২। এরমধ্যে ৪টি পর্যায়ে ৪ হাজার ১৭২টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। এসব ঘর বিতরণ আজ বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। ১২০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এখন জেলায় তালিকা ভূক্ত গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা মাত্র ৮০। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মেয়াদ সরকার ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যকোন কারণে ভূমিহীন ও গৃহহীন শ্রেণিতে নতুন কোন পরিবার অর্ন্তভূক্ত হলে পরবর্তীতে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত (তালিকাভূক্ত) করে পুনর্বাসন করা হবে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৩০টি, মুকসুদপুরে ৪০টি, টুঙ্গিপাড়ায় ৩৭টি ও কোটালীপাড়ায় ৪০টি সহ মোট ২৪৭টি ঘর আজ বুধবার গোপালগঞ্জ জেলায় বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে আমরা এ পর্যন্ত জেলার ৫ উপজেলায় ৪ হাজার ৫২ টি ঘর বিতরণ করেছি। ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতি পরিবারকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমি পাকা ঘর (বাথরুম, বারান্দা, কিচেন যুক্ত) সাথে কবুলিয়ত, নামজারী খতিয়ান, সনদপত্র, নামজারী ডিসিআর প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে সুপেয় পানির। #

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD