October 3, 2023, 10:45 pm
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ থেকেঃ ময়মনসিংহ-৪ সদর উপজেলার সংসদীয় আসনে প্রত্যন্ত জনপদ থেকে জনপদে সবখানেই এখন আলোচনার শীর্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির উপসম্পাদক চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডাঃ এম আজিজ । বিভিন্ন সময় মানুষের বিপদে আপদে পাশে তিনি এলাকার মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার প্রতীক হিসাবে সর্বমহলে আলোচনার স্থান দখল করে আছেন।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড়ের এলাকা নিয়ে গঠিত। তিনি চরাঞ্চলের সন্তান। উপজেলার ঈশ্বদিয়া, চরনিলক্ষিয়া,সিরতা,
পরাণগঞ্জ,বোররচর এই ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে চরাঞ্চল এলাকা।যেখানে ভোট সংখ্যা বেশী রয়েছে। এই পাঁচটি ইউনিয়নকে সদর উপজেলার চরাঞ্চল বলে সকলেই জানে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে অক্ষুন্ন রাখতে অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ ব্যাতিত এই চরাঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আর কোন প্রার্থী না থাকায় অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। আঞ্চলিকতার দিক থেকে অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ কে দলীয় মনোনয়ন দিলে তার পক্ষে আঞ্চলিক গণজোয়ার সৃষ্টি হবে বলে সদরের রাজনৈতিক গবেষকদের দাবী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান-অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ ময়মনসিংহ সদর আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলে খুব সহজেই নৌকা মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ সরকারের উচ্চ মহলে যোগাযোগ করে নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়নসহ শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছেন। তবে একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নাখোশ হলেও উপজেলার সাধারণ মানুষ অনেক বেশি খুশি। তার গঠন মুলক কাজে মানুষ সমর্থন দিচ্ছে। চিকিৎসক নেতা ডাঃ আজিজ এর কারণে জনগণের কাছে সরকার ও আওয়ামী লীগ উজ্জ্বল হচ্ছে ও হয়েছে । দলের আদর্শিক ও ত্যাগী নেতারাও তার জনবান্ধব কর্মকান্ডের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ময়মনসিংহ সদর আসনের জনপদে অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ এর অবদান ভুলার নয়। দেশে কোভিড-১৯ করোনা যখন মহামারীর রূপ ধারণ করে তখন প্রাণের শহরে রেড জোন এলাকার মানুষদের প্রতিদিন খোঁজ খবর নেওয়ার এবং আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করা ব্যক্তিটি ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ।
করোনা আক্রান্ত হয়ে যখন মানুষ মরছে, তখন মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে পিতার কাছে পুত্র, পুত্রের কাছে পিতা যায়নি। জানাজায়ও অংশ নিতে পারেনি। মমতাময়ী মায়ের জানাজা পড়তে পারেনি অনেক সন্তান। কিন্তু সেই করোনা সংকট কালিন মুহুর্তেও জীবনের বাজী রেখে লাশের পাশে থেকে দাফন কাফনের করেছেন অনেক ব্যক্তিকে, এই ডাঃ আজিজই তা দেখিয়েছেন।
করোনা কালিন কর্মহীন হয়ে মানুষ যখন কঠিন সময় পার করেছিলেন, তখন মানুষের দরজায় দরজায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া ব্যক্তিটি ছিলেন ডাঃ আজিজ। হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার খোঁজ খবর, তার বাড়িতে খাবার সামগ্রী আছে কিনা খবর নিয়েছেন ডাঃ আজিজ। এই জনপদের মানুষ যখনই বন্যা কবলিত হন, সেই সব বিপন্ন মানুষের পাশে খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধ নিয়ে গিয়েছিলেন ডাঃ আজিজ। যে কোন দুর্যোগে সকল ভয়কে পিছনে ফেলে জনগণের সেবা দিতে গিয়ে নিজেও বিপদগ্রস্ত হয়েছে ডাঃ আজিজ।
এই জনপদে রাস্তা, ঘাট, স্কুল কলেজ, ক্রীড়াঙ্গনসহ অনেক কিছুতে ডাঃ আজিজর অবদান আছে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি।ডাঃ এম এ আজিজ এর সহযোগিতা পেয়ে অনেক বিপন্ন মানুষ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছেন। তিনি এই জনপদের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সম্মান দিয়েছেন, তাই তিনি সম্মানিত।ময়মনসিংহ সদর এলাকার অনগ্রসর শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তার অবদানে অনেক এগিয়ে অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ তিনি বৃহত্তর সদর এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ঈদেও সার্বিক সহযোগীতাসহ শীতকালেও ব্যক্তিগত উদ্যোগ শীতবস্ত্র দিয়েছেন।
অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ এর কাছে এই জনপদের মানুষ সত্যি কৃতজ্ঞ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জাতির জনকের আদর্শে মানুষের সেবায় নিজেকে জড়িয়ে মানবসেবায় জড়িত থাকতে সরকারী চাকরী ছেড়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কর্মরত থেকে একজন চিকিৎসক হিসেবে তাঁর মাসিক বেতনের টাকা,নির্বাচনী এলাকার ভাতা,সম্মানী ভাতা,মাসিক পরিবহন ভাতা, নির্বাচনী এলাকায় অফিস খরচ, প্রতিমাসে লন্ড্রি ভাতা, মাসিক ক্রোকারিজ, টয়লেট্রিজ কেনার ভাতা, দেশের অভ্যন্তরে বার্ষিক ভ্রমণ খরচসহ স্বেচ্ছাধীন তহবিল বার্ষিক টাকাগুলোও তিনি অসহায়, অসুস্থ মানুষকে বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাঁর মতো কর্মী ও সাধারণ জনবান্ধব নেতা সারা বাংলায় কয়েকজন খুঁজে পাওয়া কঠিন।
ডাঃ আজিজ এর মতো একজন আর্দশিক, কর্মী বান্ধব নেতা পেয়েছে বলে সদর উপজেলার মানুষ নিজেরা তাদের ভাগ্যবান মনে করে। ।
অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ বহুগুণে গুণান্বিত মানুষ । তিনি রাজনীতি, শিক্ষার প্রসার, সমাজসেবা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ গণমানুষের কল্যাণে নিজ কর্মদক্ষতায় মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।