October 3, 2023, 11:36 pm
এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অফিস চলাকালীন দায়িত্বরত অবস্থায় চিত্রা রানী ভৌমিক(৪০) নামে এক নারী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার(সিএইচসিপি) কে মারধর করে গুরতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে। আহত চিত্রা রানী ভৌমিক বর্তমানে সুজানগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে স্থানীয় কাদোয়া গ্রামের আশীষ কুমার ভৌমিকের স্ত্রী। এ ঘটনায় চিত্রা রানী ভৌমিক বাদী হয়ে আব্দুল মতিন (৩৮) নামে এক যুবককে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সে কাদোয়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে। মামলা নং-২৭,তারিখ-৩০-০৭-২০২৩। মামলাসূত্রে জানাযায়, বেশকিছুদিন ধরে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার(সিএইচসিপি) চিত্রা রানী ভৌমিককে স্থানীয় বখাটে যুবক আব্দুল মতিন প্রায় প্রতিদিন প্রেম ভালবাসার প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। বিষয়টি সম্প্রতি লিখিতভাবে অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবগত করে সে। এরপরও অভিযুক্ত বখাটে আব্দুল মতিন তাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার কাদোয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সকাল ১০টার দিকে প্রবেশ করে চিত্রা রানীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বের হয়ে যেতে বললে চিত্রারানীকে মারধর করে আহত করে বখাটে আব্দুল মতিন। এসময় বাধা দিতে গেলে চিত্রারানীর মেয়ে অর্পিতা ভৌমিককেও মারধর করা হয় হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি। বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ সানজিদা মুজিবসহ থানা পুলিশ সদস্যরা। সুজানগর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, মামলার ভিত্তিতে আসামীকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে অফিস চলাকালীন দায়িত্বরত অবস্থায় চিত্রা রানী ভৌমিকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত বখাটেকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সুবোধ কুমার নটোসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মতিন নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানান, চিত্রা রানী স্থানীয়ভাবে সুদের কারবারের সাথে জড়িত। অফিস চলাকালীন ঠিকমত ক্লিনিকে অবস্থান না করে নিজের অন্য ব্যবসার কাজে নিয়োজিত রাখেন। এমনকি সম্প্রতি স্থানীয় আব্দুল আলিমের স্ত্রী নাজমা খাতুনের ছোট বোন আন্না খাতুনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভিজিটর পদে ১০ লাখ টাকার চুক্তির বিনিময়ে চাকুরী দেবার কথা বলে ১লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু চাকুরী দিতে পারে নাই। এখন ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবারের কাছ থেকে গ্রহনকৃত টাকাও আর ফেরত দিচ্ছেনা। বিষয়টি তারা আমাকে অবগত করলে আমি এদিন ওই ক্লিনিকে গিয়ে বিষয়গুলো তার কাছে জানতে যাই। এ সময় চিত্রারানীকে মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি