September 30, 2023, 2:05 pm
আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপার একটি সেচ খাল থেকে ইদ্রিস আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুলাই ) সকালে ভগবাননগর গ্রামের একটি সেচ খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ইদ্রিস আলী ওই গ্রামের সানারুদ্দীন মন্ডলের ছেলে। এর আগে তার মা ও তিন ভাই শহিদুল, আব্দুস সাত্তার ও সিদ্দিক হোসেন একই ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার আরেক ভাই আব্দুর রশিদও কাঁপুনী (মৃগী) রোগে আক্রান্ত। স্থানীয় ফুলহরি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর আমিরুল ইসলাম জানান, ইদ্রিস আলী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেন নি। যাবার সময় তিনি সবার কাছে “আর বাঁচবো না” বলে দোয়া চেয়ে যায়। রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে গ্রামের চাষিরা সেচ খালে কৃষকরা পাট জাগ দিতে গিয়ে তার মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সাবেক মেম্বর আমিরুল ইসলাম আরো জানান, এই পরিবারের ৪ সদস্য এর আগে মৃগী রোগে মারা গেছেন। প্রথমে ভাই শহিদুল, আব্দুস সাত্তার ও সিদ্দিক হোসেন মারা যান। তাদের মা একই ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। এখনো আব্দুর রশিদসহ দুই ভাই মৃগী রোগ নিয়ে বেঁচে আছেন। তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে তিনি জানান। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে শৈলকুপার ভাটই এলাকার ভগবাননগর গ্রামের সেচ খাল থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি মৃগী রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শরীরে কাঁপুনির ওঠার কারণে পানিতে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহত’র ছেলে জীবন মন্ডল তার পিতার মৃত্যু নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মহেশপুরে নিহত যুবলীগ নেতার লাশ নিয়ে মানববন্ধন
আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহত যুবলীগ নেতা হানিফ মন্ডলের লাশ নিয়ে পরিবারের স্বজন ও গ্রামবাসি মানববন্ধন করেছে। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে নিহত’র লাশ গ্রামে পৌছালে তারা “আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই” ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি নিহত হানিফ আলামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার ফুটবল খেলা নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হানিফকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হানিফের পিতা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি মম্বর আব্দুল মালেককে প্রধান আসামী করে মামলা করেছেন। মামলা রাসেল, জালাল, মনির, মস্তোফা, আসলাম, আলামিন, মোমিন ও ওয়াসিমকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ জালাল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী আলামপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম জানান, খেলার মধ্যে প্লেয়ার বদল নিয়ে আয়োজক আব্দুল মালেকের ভাই রাসেলের সঙ্গে সবুজের তর্কবিতর্ক হয়। এরপর সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষের মধ্যেই যুবলীগ নেতা হানিফকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আলামপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫), মকবুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৭) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে মতিয়ার রহমান(৩৫) আহত হন। মহেশপুর থানার ওসি খোন্দকার শামিম উদ্দীন জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জালাল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান