November 5, 2024, 7:39 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহে সদর উপজেলায় ফুফুকে হত্যার দায়ে মাত্র ৪ঘন্টার ব্যবধানে ভাতিজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৯শে জুলাই বুধবার রাত আনুমানিক ১২টায় তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহীনুল ইসলাম ফকির ও কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা উদ্ধার করা হযেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম বার) জানান, ১৯ জুলাই বুধবার রাত আনুমানিক ৮.১০ ঘটিকায় জেলার কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেড় ধরে খুন হওয়া নুরন্নাহার (৪০) এর রক্তাক্ত মৃত্যু দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তিনি বলেন -এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভূঞা এর দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল ইসলাম ফকির সহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিকভাবে আসামি গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে কোতোয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ ফারুক হোসেন, এসআই নিরুপম নাগ, এস আই আনোয়ার হোসেন, এসআই মনিরুজ্জামান, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা সহ একটি চৌকস টিম অত্র থানা এলাকা সহ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন বিসকা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে চার ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামী চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর এলাকার
মানিক মিয়ার স্ত্রী মারুফা (২০) সাহেব আলীর পুত্র মোঃ মানিক (২৩)কে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার ভিকটিম নুুুরুনাহার (৪০) গ্রেফতারকৃত আসামী মারুফা (২০) এর সহোদর ফুফু। আসামি মারুফার পিতার মৃত্যুর পর তাহার মাতা ভিকটিমের বাড়িতে বাড়িতে বসবাস করিতে থাকে। পরবর্তীতে আসামী মারুফা এর মাতা দ্বিতীয় বিবাহ করার পর হইতে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয় এবং মামলার ভিকটিম নূরুন্নাহার পরিবারের অন্যান্য লোকজন আসামি মারুফা এর মাতা ময়মুনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। উক্ত ঘটনার জের ধরে ১৯ জুলাই বুধবার আনুমানিক ৮.১০ ঘটিকায় ময়মুনা (৪৫) এর বসত ঘড়ের ভিতর ধৃত আসামিদ্বয় সহ ময়মুনা এর সহিত ভিকটিম নুরুন্নাহারের কথা কাটাকাটি হইলে আসামি মারুফা, স্বামী মানিক, আসামি ময়মুনা সহ তিনজনে মিলে ভিকটিম নুরুন্নাহার কে জাবরাইয়া ধরিয়া রাখিলে আসামি মারুফা বসত ঘরে থাকা একটি ধারালো দা দিয়ে সজুড়ে বুকের বাম পাশে আঘাত করলে ভিকটিম নুরুন্নাহার ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানায় লুৎফর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলার নং-৭৪, ২০/৭/২০২৩ ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রজু করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাত্র ৪ঘন্টায় আসামীদের গ্রেফতার করায় পুলিশের কৌশলী অভিযান স্থানীয়দের মাঝে আলোচনার স্থান দখল করে নিয়েছে। কোতোয়ালি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে চরনিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।